Lakshadweep: সৈকতের আড়ালে কী লুকোচ্ছে লাক্ষাদ্বীপ? ভারতীয় নৌসেনার রহস্যময় পদক্ষেপ!
মালদ্বীপের বিকল্প হিসাবে ভারতীয়রা যাতে লাক্ষাদ্বীপে ছুটি কাটাতে যান, এনিয়ে কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছিল। যার জন্য দায়ী ছিল মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর ভারত-বিরোধী পদক্ষেপ। লাক্ষাদ্বীপে তৈরি হচ্ছে নৌ-বাহিনীর নতুন ঘাঁটি। অনেকগুলো জিনিস এর সঙ্গে জুড়ে আছে। প্রথমত দক্ষিণে ভারতের জলসীমার নিরাপত্তায় বরাবরই গুরুত্ব পেয়ে এসেছে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। চেন্নাই থেকে যার দূরত্ব প্রায় ১,২০০ […]
মালদ্বীপের বিকল্প হিসাবে ভারতীয়রা যাতে লাক্ষাদ্বীপে ছুটি কাটাতে যান, এনিয়ে কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছিল। যার জন্য দায়ী ছিল মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর ভারত-বিরোধী পদক্ষেপ। লাক্ষাদ্বীপে তৈরি হচ্ছে নৌ-বাহিনীর নতুন ঘাঁটি। অনেকগুলো জিনিস এর সঙ্গে জুড়ে আছে। প্রথমত দক্ষিণে ভারতের জলসীমার নিরাপত্তায় বরাবরই গুরুত্ব পেয়ে এসেছে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। চেন্নাই থেকে যার দূরত্ব প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার। অথচ, কেরলের কোচি থেকে মাত্র ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান হলেও লাক্ষাদ্বীপের দিকে এতদিন সেইভাবে সরকারের নজর পড়েনি। কেন্দ্রশাসিত লাক্ষাদ্বীপ অঞ্চলে রয়েছে ৩৬টা দ্বীপ। সবগুলোই চরিত্রে প্রবাল দ্বীপ। এর মধ্যে ১০টা আইল্যান্ডে মানুষ বাস করে। সম্প্রতি, এই দ্বীপগুলোর নামে যুদ্ধজাহাজের নাম রাখা শুরু করে ভারতীয় নৌসেনা। যেমন আইএনএস কাভারাত্তি, আইএনএস কিলতন বা আইএনএস কদমতের কথা বলা যায়।
দ্বীপপুঞ্জের একেবারে উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে বিত্রা নামে একটা দ্বীপ রয়েছে। আয়তন প্রায় ২ বর্গ কিলোমিটার। ১০০টা পরিবার সেখানে বাস করে। কয়েকদিন আগেই এই দ্বীপে সার্ভের কাজ হবে বলে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অফিশিয়ালি কিছু বলা হয়নি। তবে, নানা সূত্র থেকে পাওয়া খবরে এটা মোটের ওপর স্পষ্ট যে এই সার্ভে সেখানে নৌ-ঘাঁটি তৈরির প্রথম ধাপ। এবার প্রশ্ন হল, হঠাত কেন লাক্ষাদ্বীপে ন্যাভাল বেস তৈরির প্রয়োজন হল। অনেকগুলো কারণ। গত কয়েকবছরে আরব সাগরে চিনের গুপ্তচর জাহাজের আনাগোনা বেড়েছে। এখানে জলের নীচে রয়েছে ভারতের অপটিক্যাল কেবল। তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপলাইন। ফলে প্রবালদ্বীপে সেনাঘাঁটি তৈরি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ভারতের পণ্যবাহী জাহাজগুলোর আশি শতাংশ আরব সাগর দিয়ে চলাচল করে। লাক্ষাদ্বীপে বেস থাকলে মার্চেন্ট নেভির নিরাপত্তাও বাড়বে। আছে আরও অ্যাডভান্টেজ।
লাক্ষাদ্বীপ থেকে লোহিত সাগর ও হরমুজ প্রণালীর ওপর নজর রাখা সম্ভব। পাকিস্তানের গ্বদর বন্দর ও জিবুতিতে প্রভাব বাড়াচ্ছে চিন। লাক্ষাদ্বীপ থেকে সেদিকেও নজরদারি করা সহজ। মাত্র হাজার কিলোমিটারের মধ্যেই আছে করাচি বন্দর। তাই, পাকিস্তান যাতে ট্যাঁফো করতে না পারে, সেব্যবস্থাও হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, সাগরে ভারতকে ঘিরতে স্ট্রিং অফ পার্লস কৌশল নিয়েছে বেজিং। এজন্য পাকিস্তানের গ্বদর বন্দরের পাশাপাশি মায়ানমারের কায়াউকপোউ এবং শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় প্রভাব বাড়াচ্ছে তারা। চিনকে শিক্ষা দিতে পাল্টা ডায়মন্ড নেকলেস পলিসি নিয়েছে ভারতও। গ্বদরের পাশেই ইরানের চাবাহারে বন্দর তৈরি করেছে দিল্লি। ওমান, ইন্দোনেশিয়া, সেসেলস, মরিশাস, ভিয়েতনামের বন্দরে যাতে দরকারে আমাদের রণতরী ভিড়তে পারে সেসব নিয়েও কথা চলছে। এই ডায়মন্ড নেকলেস পলিসির একটা পার্ট হল লাক্ষাদ্বীপে ন্যাভাল বেস। উল্লেখ্য, আমাদের দেশের উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৫০০ কিলোমিটার। যদিও, নৌঘাঁটির সংখ্যা মাত্র ১০. মুম্বই হামলার পর দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নৌঘাঁটির সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা সামনে আসে। অবশেষে শুরু হচ্ছে কাজ।
লোকে মেসিকে দেখতে গিয়েছিল, মেসির এক মাসিকে দেখে ফিরে এসেছে: সজল
'উপমুখ্যমন্ত্রী হবে হুমায়ুন...', ভোটের আগেই 'ফলাফল ঘোষণা' সজলের
খসড়া তালিকায় নাম আছে কি না, ওয়েবসাইটে খুঁজে না পেলে কীভাবে জানবেন
অপেক্ষা শুধু আজ রাতের, মঙ্গলেই দেখতে পাবেন আপনার নাম তালিকায় উঠল কি না

