Lebanon: শরিয়তি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে হিজবুল্লা, জানুন কীভাবে
যাঁরা বকলমে দেশ চালাচ্ছে, যাঁদের কথায় নেতা-মন্ত্রীরা ওঠাবসা করছে, তাদের যদি বলা হয়, ‘তোমরা সব ছেড়ে ঘরে বসে থাকো, মাসে মাসে ভাতা নাও, অন্য কোনও বিষয়ে মাথা ঘামাতে হবে না।’ তাহলে কি কেউ মেনে নেবেন? ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া এত সহজ? লেবাননের নির্বাচিত সরকার সেইরকম আশায় বুক বেঁধেছে। এদিনও লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজাফ সালাম বললেন, ‘ওরা আমাদের […]
যাঁরা বকলমে দেশ চালাচ্ছে, যাঁদের কথায় নেতা-মন্ত্রীরা ওঠাবসা করছে, তাদের যদি বলা হয়, ‘তোমরা সব ছেড়ে ঘরে বসে থাকো, মাসে মাসে ভাতা নাও, অন্য কোনও বিষয়ে মাথা ঘামাতে হবে না।’ তাহলে কি কেউ মেনে নেবেন? ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া এত সহজ? লেবাননের নির্বাচিত সরকার সেইরকম আশায় বুক বেঁধেছে। এদিনও লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজাফ সালাম বললেন, ‘ওরা আমাদের প্রস্তাব মেনে নেবে বলেই আশা করছি। আমরা তো ওদের সব মানতে রাজি।’ ওরা অর্থাৎ হিজবুল্লা।
লেবানন মানেই তো হিজবুল্লা। রাষ্ট্রসংঘ এবং আমেরিকার ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন। ইজরায়েলে শরিয়াতি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায় হিজবুল্লা। তাদের এক নম্বর শক্রও সেই ইজরায়েলই। গত বছর সেপ্টেম্বরে হিজবুল্লার কোমর বাঁধতে লেবাননে লাগাতার বোমা ফেলেছিল আইডিএফ। সেবার দক্ষিণ লেবাননের ঢুকেও সেনা অভিযান চালায় ইহুদী সেনা। সেই সময় হিজবুল্লা চিফ নাসরুল্লা সহ অন্তত ৮ শীর্ষনেতাকে খতম করেছিল আইডিএফ। লেবাননে নির্বাচিত সরকার আছে বটে। তবে সেই সরকারের কাজকর্ম বিশেষ নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকটাই বকলমে হিজবুল্লার হাতে। তাদের প্রভাব এতটাই যে সরকারকে হিজবুল্লার বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নামে বাজেট বরাদ্দ করতে হয়। প্রসঙ্গত, হিজবুল্লার নিজস্ব ব্যাঙ্ক, অস্ত্র কারখানাও রয়েছে। গত ১৫- ২০ বছর ধরে এরকমই হয়ে আসছে। এবার আমেরিকাও বলে দিল, এতদিন যা চলেছে সেটা আর চলবে না। হিজবুল্লার সমস্ত অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করতে হবে। হিজবুল্লা নেতাদের সব সরকারি পদ থেকে সরাতে হবে। ওদের হাতে ডলার আসা বন্ধ করতে হবে।
সোজা কথায় সব ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখতে হবে। লেবানন জানত, এতটা হবে না। তাই তাঁরা হিজবু্ল্লাকে বলেছিল, ‘তোমরা খালি অস্ত্রশস্ত্র গুলো জমা দাও। বাকি সব আগের মতোই চলবে।’ গত পয়লা অগাস্ট হিজবুল্লা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই বার্তা দেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী। দু-দিনের মধ্যেই সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন হিজবুল্লার ডেপুটি চিফ। সম্প্রতি, ফের একই প্রস্তাব পাঠিয়েছিল লেবানন মন্ত্রিসভা। জবাব এসেছে। সোজা কথায় হিজবুল্লা যেটা বলেছে তার অর্থ, হিজবুল্লা যা ছিল, তাই থাকবে। লেবাননের মানুষের কাছে হিজবুল্লাই নির্বাচিত সরকার। ক্ষমতাসীন সরকার হিজবুল্লার নিয়োগ করা প্রতিনিধি মাত্র। জনগণের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সরকারকেই সরে যেতে হবে।

