Indian Army: জঙ্গিদমনে এবার সেনার হাতিয়ার AI
উরি সেক্টর দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও নাশকতার চেষ্টা ভেস্তে দিল ভারতীয় সেনা। সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন ২ জওয়ান। নিহত হয়েছে বেশ কয়েকজন জঙ্গি। পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা প্রতিকূল এলাকায় এই অভিযানে সেনা প্রথমবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (AI) হাতিয়ার করল সেনা। এআই-র সিগন্যাল বিশ্লেষণে ধরা পড়ে, অনুপ্রবেশের পিছনে পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম নয়, বরং পিছনে রয়েছে পাক সেনার ফ্রন্টিয়ার […]
উরি সেক্টর দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও নাশকতার চেষ্টা ভেস্তে দিল ভারতীয় সেনা। সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন ২ জওয়ান। নিহত হয়েছে বেশ কয়েকজন জঙ্গি। পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা প্রতিকূল এলাকায় এই অভিযানে সেনা প্রথমবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (AI) হাতিয়ার করল সেনা। এআই-র সিগন্যাল বিশ্লেষণে ধরা পড়ে, অনুপ্রবেশের পিছনে পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম নয়, বরং পিছনে রয়েছে পাক সেনার ফ্রন্টিয়ার কর্পস, যা মূলত খাইবার পাখতুনখোয়ায় তালিবান দমনে প্রশিক্ষিত একটি বাহিনী।
সাম্প্রতিক সময়ে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের পরমাণু হুমকি, পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো ও নিরাপত্তা উপদেষ্টার লাগাতার হুমকি পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। শাহবাজ সতর্ক করে বলেছেন, ভারত যেন এক বিন্দু জলও না নেয়, নিলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। বিলাবল ভুট্টো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ভারত ‘দাদাগিরি’ করলে পাকিস্তান সিন্ধু ও পাঁচটি উপনদীর দখল নেবে। সেনাপ্রধান মুনির আমেরিকা থেকে সিন্ধুর উপর বাঁধ উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের এই আক্রমণাত্মক অবস্থান আমেরিকার নীরব সমর্থনের ফল। ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি পাকিস্তানের সন্ত্রাসদমন নিয়ে ইতিবাচক সার্টিফিকেট দিয়েছে। ভারত এবং পাকিস্তান – দুই দেশের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের সমীকরণে কোনও বদল আসেনি। দুই দেশ যখন সংঘাতে জড়িয়েছিল, তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স এবং বিদেশসচিব রুবিও লাগাতার দু-দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। মার্কিন হস্তক্ষেপেই দু-দেশ সংঘাত বন্ধ করতে সম্মত হয়। এটাই প্রমাণ করে যে দুই দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কতটা মজবুত।’ তাকে আবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, পাক সেনাপ্রধান তথা ফিল্ডমার্শালের হুমকি নিয়ে আমেরিকার কী বক্তব্য? ওই মার্কিন আধিকারিকের উত্তর, নির্দিষ্টভাবে কোনও ব্যক্তিকে নিয়ে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।
প্রশ্ন উঠছে, আমেরিকার এই সুর পরিবর্তনের পিছনে কি শুধুই রাজনৈতিক কৃতিত্বের খেলা, নাকি এর পিছনে রয়েছে বড়সড় ভূরাজনৈতিক পরিকল্পনা? একই সময়ে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত কি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা, নাকি সবই এক বৃহত্তর ছক?

