Pandua Murder News: স্ত্রীকে খুন করে দেহ খাটের তলায়!
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পান্ডুয়ার জায়ের দ্বারবাসিনী পঞ্চায়েতের কামতাই মালঞ্চ পাড়ার উরমিতা বাউল দাস দুবছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করে বলাগড় থানার অন্তর্গত ঝেরো গোপালপুরের সৌমেন বাউল দাসের সঙ্গে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পান্ডুয়ার জায়ের দ্বারবাসিনী পঞ্চায়েতের কামতাই মালঞ্চ পাড়ার উরমিতা বাউল দাস দুবছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করে বলাগড় থানার অন্তর্গত ঝেরো গোপালপুরের সৌমেন বাউল দাসের সঙ্গে। বছরখানেক আগে তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বধূর বাবা উত্তম বাউল দাসের অভিযোগ বিয়ের পর থেকে মেয়ের উপর অত্যাচার করতো জামাই। নেশা করে এসে মারধর করতো। পেটে লাথি মেরে একবার সন্তান নষ্ট করে দেয়। মেয়ে আর শ্বশুরবাড়িতে যাবে না বলায় অশান্তি চলছিল। বাপের বাড়িতেই ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে থাকতেন উরমিতা। জামাই মাঝেমধ্যে আসত। গতকাল পান্ডুয়ার গ্রামে মনসা পুজোর অনুষ্ঠানে আসে সৌমেন। রাতে সেখান থেকে শ্বশুড়বাড়ি আসে। রাতে খাওয়া দাওয়া করে।
এরপর স্ত্রীকে ছাগল বাধার দরি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে খাটের তলায় ঢুকিয়ে দিয়ে দরজায় শিকল টেনে পালিয়ে যায় জামাই। মেয়ে বলেছিল আর শ্বশুরবাড়ি যাবে না। আমরাও মেয়েকে যেতে দিতে চাইনি। সেই কারনে খুন করে দিল। ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে যায় পান্ডুয়া থানার পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার ডিএসপি ক্রাইম দেবী দয়াল কুন্ডু ও পান্ডুয়া থানার ওসি প্রশান্ত ঘোষ ঘটনাস্থলে যান। পান্ডুয়ার বিডিও স্বাতী চক্রবর্তী থানায় গিয়ে সুরতহাল করেন। ডিএসপি ক্রাইম দেবী দয়াল কুন্ডু বলেন,গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় খাটের তলা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে খুন করা হয়েছে। তবে মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে। মৃতদেহ চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।