কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে গবেষণার ফল ঘোষণা করেছে আইসিএআর। গবেষণায় ফলাফল ভয়ানক চোখ কপালে উঠবে । ২০৫০র মধ্যে ধানের ফলন ২০% কমে যাবে। ২০৮০র মধ্যে ৪৭% হ্রাস পাবে ধানের উৎপাদন । ২০৫০এর মধ্যে গমের ফলন ১৯.৩% হ্রাস পাবে। ভুট্টা উৎপাদন ২০৫০ নাগাদ ১৮% ও ২০৮০ র মধ্যে ২৩% হ্রাস পাবে বলে আশঙ্কা । ২০২২ এ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রথম ৩০৮ দিনের মধ্যে ২৭১ দিনে ১৮.১ লাখ হেক্টর জমিতে ফসল নষ্ট হয়েছে। মধ্য ভারতে ১.৩৬ লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট। পূর্ব-উত্তরপূর্ব ভারতে ২.৮৫ লক্ষ হেক্টর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা উত্তরপ্রদেশে সেখানে ৩.১১ লাখ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত। দক্ষিণ ভারতে ১০.৭৩ লক্ষ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত। এই অবস্থা থেকে কি কোনও নিষ্কৃতি নেই? উত্তর কিন্তু আছে আমাদের দেশেই । শ্রী অন্ন বা মিলেট এখন বিকল্প খাদ্য শস্য হিসেবে বেশ পরিচিত। ২০২৩ ঘোষিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসাবে। এবারের জি ২০ সামিটেও মিলেটের গুরুত্বের ওপরে আলোকপাত করা হয়েছে । গ্লুটেন মুক্ত এই খাবার ফলাতে ধান, গম বা ভুট্টার চেয়ে লাগে অনেক কম জল। আমদের দেশে উৎপাদিত হয় সাত আট রকমের মিলেট । বাজরা, জোয়ার, রাগি, সাঁওয়া, কঙ্গনি, কুটকি আর চিনা র উৎপাদনে ইতিমধ্যেই ভারত বিশ্বে প্রসিদ্ধ এক নাম। এই মিলেট গুলিকে বলা হয় শ্রীঅন্ন। খরা এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে এই শ্রীঅন্ন। মাটির অবস্থা এই চাষে কোনও বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। চাষের খরচও অনেকটাই কম । ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে রেশন হিসাবে মিলেট বেশ জনপ্রিয় হয়েছে । গ্লুটেন ফ্রি এই মিলেট খেয়াল রাখে পরিবেশের এবং স্বাস্থ্যেরও।