দূর পাল্লার ট্রেনে ওয়েটিং লিস্টের দিন শেষ?

জরুরি দরকারে কোথাও যাবেন। ট্রেনে টিকিট কাটতে গিয়ে দেখলেন ওয়েটিং লিস্ট। আর নম্বর এতটাই পিছনে যে আপনি বুঝতেই পারছেন, টিকিট কনফার্ম হওয়া তো দুরের কথা। আরএসি-ও হবে না। ভাল খবর হল এই ছবিটা এবার বদলে যেতে চলেছে। নানা রুটে চালানোর জন্য রেল নতুন ট্রেন কিনছে। ধাপে ধাপে কেনা হবে প্রায় ৮ হাজার ট্রেন সেট।

দূর পাল্লার ট্রেনে ওয়েটিং লিস্টের দিন শেষ?
| Edited By: | Updated on: May 29, 2024 | 6:30 PM

জরুরি দরকারে কোথাও যাবেন। ট্রেনে টিকিট কাটতে গিয়ে দেখলেন ওয়েটিং লিস্ট। আর নম্বর এতটাই পিছনে যে আপনি বুঝতেই পারছেন, টিকিট কনফার্ম হওয়া তো দুরের কথা। আরএসি-ও হবে না। ভিড়ের মরসুমে তো জার্নির অনেকদিন আগে টিকিট কাটলেও ওয়েটিং লিস্ট দেখায়। স্পেশাল ট্রেন যেগুলো চলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেগুলোর আবার টাইম-টেবিলের ঠিক থাকে না। ফ্যামিলির সবাই মিলে ট্যুর প্ল্যান করলে তো ওয়েটিং লিস্টের সমস্যা আরও বেশি। তখন হয় অনেক বেশি টাকা দিয়ে প্লেনের টিকিট কাটো রে। আর তাতেও না হলে যাওয়া ক্যানসেল। দেশের সর্বত্রই দূরপাল্লার ট্রেনের ছবি এটাই। এতে একদিকে যেমন আমার-আপনার খুব অসুবিধা। অন্যদিকে তেমনই রেলওয়ের নিয়মিত রেভিনিউ লস। ভাল খবর হল এই ছবিটা এবার বদলে যেতে চলেছে। নানা রুটে চালানোর জন্য রেল নতুন ট্রেন কিনছে। ধাপে ধাপে কেনা হবে প্রায় ৮ হাজার ট্রেন সেট। ট্রেন সেট মানে হল মোটামুটি ৬, ৯, ১২ ও ১৫ কামরার একটা পূর্ণাঙ্গ ট্রেন। এজন্য খরচ হবে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা। রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর আগামী ৪-৫ বছরে ধাপে ধাপে ট্র্যাকে নামবে এইসব নতুন ট্রেন। কিছু ট্রেন পুরনো ট্রেনকে রিপ্লেস করবে। আর বাকি ট্রেনগুলো বিভিন্ন রুটে অ্যাডিশনাল হিসাবে চলবে। মোটামুটি যা খবর ভোটের পর নতুন সরকার তৈরি হয়ে গেলেই ডাকা হবে টেন্ডার। রেলের একটা হিসেব আপনাদের বলি। এখন সারা দেশে রোজ প্রায় ১০ হাজার ট্রেন চলে। বছরে এসব ট্রেনে যাতায়াত করেন প্রায় ৭০০ কোটি যাত্রী। রেলের হিসেবে পিক সিজন ছাড়া বাকি সময়ে যদি ৩০ শতাংশ বাড়তি ট্রেন চালানো যায়। তাহলেই আর ওয়েটিং লিস্টের সমস্যা থাকবে না। সেইমতোই ট্রেন বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। আর সেটা হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতীয় রেলে বছরে যাত্রী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১ হাজার কোটি। আরেকটা কথাও বলার। নতুন ট্রেনের একটিও বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে না। সব কোচ দেশেই তৈরি হবে। এই পর্যন্ত শুনে আপনাদের মনে হতে পারে বাড়তি ট্রেন না হয় চলবে। কিন্তু বাড়তি ট্র্যাক কোথা থেকে আসবে। তা যদি না আসে তাহলে তো ভিড়ের চাপে এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি যাবে কমে। সমাধান একটাই। যাত্রীবাহী ট্রেন আর পণ্যবাহী ট্রেন এক লাইনে
চালানো যাবে না। গুডস ট্রেনের জন্য থাকতে হবে আলাদা ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর। রেলমন্ত্রক জানিয়েছে ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন ফ্রেট করিডরের কাজ শেষ হয়ে গেলেই সমস্যার অনেকটা সমাধান হয়ে যাবে। এজন্য চলতি অর্থবর্ষে রোজ ১৬ কিলোমিটার নতুন রেল লাইন পাতার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। গত অর্থবর্ষে যা ছিল রোজ গড়ে ১৪ কিলোমিটার। বুঝতেই পারছেন বেশ ক্রিটিকাল আর অ্যাম্বিসাস টার্গেট। এই মুহূর্তে অবশ্য এমনিতেই রেলের হাতে চ্যালেঞ্জিং প্রকল্পের সংখ্যা কম নয়।

আকাশে মহাবিপদের আশঙ্কা। প্রতি পদে মৃত্যুর হাতছানি। কেন বলছি। কয়েকদিন আগে বিশে মে লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বিমান। মাঝআকাশে প্রবল ঝাঁকুনি। বিমানের ভিতরেই এক যাত্রী মারা যান। বিমানে ২১১ জন যাত্রী ছাড়াও ১৮ জন ক্রু ছিলেন। অন্তত ২০ জন যাত্রী এখনও হাসপাতালে। আরও ৭৫ জনকে আগামী ৬ মাস মনোবিদের কাছে নিয়মিত যেতে হবে। বিশে মে ওই বিমানে ঠিক কী ঘটেছিল? যাত্রীরা বলেছেন, হঠাত্‍ করেই বিমানটা গোত্তা খেয়ে নামতে শুরু করে। অনেকেই সিট থেকে এদিক-ওদিক ছিটকে পড়েন। লাগেজ বক্স ভেঙে জিনিসপত্র লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ভারি বাক্স মাথায় পড়ে অনেকে আহত হন। আমার পাশের ছবিটা দেখলেই ঘটনার ভয়াবহতা আঁচ করতে পারবেন। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, মায়ানমারের ইরাওয়াদি উপত্যকার ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়াবহ এয়ার টার্বুল্যান্সের মধ্যে পড়ার কারণেই এই অবস্থা। টার্বুল্যান্সের সময় ৩৭ হাজার ফুট থেকে ৩১ হাজার ফুট উচ্চতায় নেমে এসেছিল বিমান। মাত্র ১৯ সেকেণ্ডে বিমান ৬ হাজার ফুট নেমে আসায় সমস্ত ওলট পালট হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরণের এয়ার টার্বুল্যান্স নজিরবিহীন। অল্পের জন্য বড় বিপর্যয় এড়িয়েছেন পাইলট। দেখুন যে কোনও জায়গার মতো আকাশেও নজিরবিহীন ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এই ঘটনাকে ততটা হালকাভাবে দেখা ঠিক হবে না। যেমন ধরুন রবিবার ভোররাতে দোহা থেকে ডাবলিনগামী বিমানেও একই ঘটনা। এয়ার টার্বুল্যান্সের মধ্যে পড়ে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা এড়িয়েছে কাতার এয়ারলাইন্সের বিমান। আহত ৬ যাত্রী ও ৬ জন বিমানকর্মী। গত ৬ মাসে কম করেও ২২টা বিমান টার্বুল্যান্সের মধ্যে পড়েছে। ফ্লাইট সেফটি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য বলছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯। এই ৩ বছরে দুনিয়াজুড়ে ৮৮টি বিমান এয়ার টার্বুল্যান্সের মুখে পড়েছিল। সেখানে শুধু এবছরের প্রথম ৫ মাসেই ৫৬টি বিমান টার্বুল্যান্সের মুখে পড়েছে। তাহলে কি আচমকাই আকাশটা অনেক বেশি বিপদসঙ্কুল হয়ে পড়েছে। কেন এমন হচ্ছে, বলছি। তার আগে বলি, মাঝআকাশে আবহাওয়ার গতি বদলে গেলে, দুর্যোগ শুরু হলে পাইলট অনেক সময় বিমানের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ঝোড়ো হাওয়ার গতি যত বেশি হয়, ঝাঁকুনির মাত্রাও তত বাড়ে। এটাই এয়ার টার্বুল্যান্স। তুমুল ঝড়বৃষ্টি বা আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এই ঘটনা বেশি ঘটে। হাওয়ার চাপ খুব বেশি থাকলেও বিমান এয়ার টার্বুল্যান্সের মধ্যে পড়ে। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটা হল, ইদানিং এত ঘনঘন এমন ঘটনা ঘটছে কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর কারণ মূলত আবহাওয়া পরিবর্তন। আবহাওয়া আগের তুলনায় অনেক খামখেয়ালি হয়ে পড়েছে। মেঘেদের মেজাজমর্জিও বদলে গিয়েছে। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত বর্জ্রপাতও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। এসবের মোকাবিলার প্রযুক্তি অধিকাংশ যাত্রীবাহী বিমানে নেই। তাই আকাশ এখন অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। আরেকটা তথ্য আপনাদের জানিয়ে রাখি। কোন রুটগুলিতে এয়ার টার্বুল্যান্সের বিপদ বেশি, তার একটা তালিকা তৈরি হয়েছে। যে সংস্থা ওই তালিকা তৈরি করেছে, তাঁদের মতে, উঁচু পাহাড়, মহাসাগরীয় বায়ুপ্রবাহ, দূষিত অববাহিকা দিয়ে ওড়ার সময় এয়ার টার্বুল্যান্সের বিপদ সবচেয়ে বেশি। বিপজ্জনক রুটের বেশিরভাগই জাপান ও দক্ষিণ আমেরিকায়। তবে এয়ার টার্বুল্যান্সের ঘটনা সবচেয়ে বেশি হয় আমেরিকায়।

বয়স বাড়লেই আমাদের সবার মনে হয় আবার যদি জোয়ান হওয়া যেত। বাজারে জোয়ান হওয়ার জন্য কত ক্রিম-তেল-বড়ি-গুঁড়ো পাওয়া যায় জানেন। সারা দুনিয়ায় বছরে এসব নিয়ে প্রায় ১৩ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। আমি হলফ করে বলতে পারি এর অধিকাংশেই কোনও কাজ হয় না। তবুও লোকে পাগলের মতো এসব কেনে। আচ্ছা ভাবুন তো সত্যিই যদি এক ধাক্কায় ১০ বছর বয়স কমিয়ে ফেলা যেত। আর এইজন্য আপনাকে কিছুই করতে হবে না। ৩টে মাস নির্বাসনে যেতে হবে শুধু। থাকতে হবে জলের তলায়। পারবেন। মার্কিন নৌসেনার প্রাক্তন কর্মী জোসেফ ডিটুরি সমুদ্রের নীচে ৯৩ দিন কাটিয়ে এসে একেবারে হইচই ফেলে দিয়েছেন। এর আগে জলের নীচে সবচেয়ে বেশি ৭৩ দিন কাটানোর রেকর্ড ছিল। ৫৬ বছরের জোসেফ সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। আর জলের নীচ থেকে উঠে আসার পর জোসেফকে পরীক্ষা করে ডাক্তাররা জানিয়েছে তাঁর বয়স একলাফে ১০ বছর কমে গেছে। ব্যাপারটা একটু খুলেই বলি। এই জোসেফ লোকটি নৌসেনা থেকে অবসর নেওয়ার পর পিএইচডি কমপ্লিট করেন। সমুদ্র নিয়ে নানা গবেষণা শুরু করেন। এই সবের জন্য তাঁর নামই হয়ে গেছে ডক্টর ডিপ সি। প্রজেক্ট নেপচুন-১০০ নামে এক গবেষণা প্রকল্পের আওতায় তিনি ডুব দিয়েছিলেন
আটলান্টিকে। বিশেষভাবে তৈরি এক ক্যাপসুলে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয় সমুদ্রের ৩০ ফুট নীচে। জলের নীচে ক্যাপসুলের মধ্যেই ৯৩ দিন ছিলেন জোসেফ। উঠে আসার পর দেখা যাচ্ছে জোসেফের বয়স গেছে ১০ বছর কমে। কীরকম। বলি শুনুন। আমাদের শরীরে ক্রোমোজোমের শেষ প্রান্তে ডিএনএ ক্যাপ থাকে। যা বয়সের সঙ্গে সংকুচিত হয়ে যায়। জোসেফের ক্ষেত্রে নাকি দেখা গেছে তাঁর ডিএনএ ক্যাপগুলো ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যে অবস্থাটা ১০ বছর আগে তাঁর শরীরে ছিল। আরও সব ভালো ভালো ঘটনা ঘটেছে। আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে স্টেম সেল। টানা জলের নীচে কাটিয়ে জোসেফের দেহে স্টেম সেলের সংখ্যা বেড়ে গেছে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা গেছে কমে। হজম শক্তি বেড়েছে। ঘুম ভাল হওয়ায় জোসেফের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা দুটোই আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। আপাতভাবে মনে করা হচ্ছে জলের চাপের কারণে এইসব পজিটিভ রেজাল্ট দেখা যাচ্ছে। গবেষকদের একটা অংশ বলছেন অ্যান্টি-এজিং সংক্রান্ত গবেষণায় সাহায্য করবে জোসেফের এই অভিজ্ঞতা। এ থেকে বার্ধক্যজনিত কারণে নানা রোগের চিকিত্‍সাতেও জরুরি দিশা মিলতে পারে।

ভারতীয় সিনেমার বিশ্বায়ন। সাইলেন্ট মুভি থেকে অস্কার জয়। এক সিনেমায় হাজার কোটির কালেকশন। কান চলচ্চিত্র উত্‍সবের ইন্ডিয়া প্যাভিলিয়ন এবার ভারতীয় সিনেমার সাফল্যের গল্প বলছে। সেই কান চলচিত্র উত্‍সবেই কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জোড়া ইতিহাস তৈরি হতে দেখলাম আমরা। কানের আন-সার্টন রিগার্ড বিভাগে সেরা অভিনেত্রীর সম্মান পেলেন কলকাতার মেয়ে, অনসুয়া সেনগুপ্ত। অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট ছবিটির জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেলেন পায়েল কাপাডিয়া। এফটিআইআইয়ের প্রাক্তনীর হাত ধরে এই প্রথমবার কানের এই বিভাগে পুরস্কার জিতলেন কোনও ভারতীয়। কান চলচ্চিত্র উত্‍সবে সর্বোচ্চ সম্মান পাম-ডিওর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান গ্রাঁ-পি। সেরা ছবি বেছে নিতে তৈরি হয় চার সদস্যের বিচারকমণ্ডলী। ১০-এর মধ্যে ৯.৫ পেয়ে পাম-ডিওর জিতে নেয় ফরাসি পরিচালক সিন বেকারের ছবি আনোরা। ৮.৪ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় হয় পায়েলের ছবি অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট। অন্যদিকে শেমলেস ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন বাঙালি মেয়ে অনসূয়া সেনগুপ্ত। আন সার্টেন রিগার্ড বিভাগে অভিনয়-সহ ৩টি ক্ষেত্রে মনোনীত হয়েছিল দ্য শেমলেস। ছবির পরিচালক বুলগেরিয়ার কনস্ট্যান্টিন বোজানভ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া চলাকালীন অঞ্জন দত্তর ম্যাডলি বাঙালি ছবিতে ছোট্ট রোল করেছিলেন অনসূয়া। তারপর বিভিন্ন প্রোডাকসন হাউসে কাজ করার পর অভিনয়ে ফেরা। আবার পায়েল কাপাডিয়া এফটিআইআই থেকে পাশ করে শর্ট ফিল্ম নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই গত তিন দশকে কানের প্রতিযোগিতামূলক বিভাগে সেরা পাঁচে উঠেছিল কোনও ভারতীয় পরিচালকের ছবি। দেখুন সিনেমার বিশ্বমঞ্চে ভারতের দুই মেয়ের সাফল্য সব ভারতীয়ের কাছেই গর্বের। তাঁদের দুজনকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আলিয়া ভাট, রণবীর কাপুর, দীপিকা পাড়ুকোন, সঞ্জয় লীলা বনশালীরাও অভিনন্দন জানিয়েছেন অনসূয়া ও পায়েলকে। অনেকে আবার মনে করাচ্ছেন, এফটিআইআই-তে পড়াশোনার সময়ে পড়ুয়া বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় পায়েলের স্টাইপেন্ড বন্ধ করা হয়েছিল। তবে আমার মনে হয় সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি টেনে আনা ঠিক নয়। তাই আমি এর মধ্যে ঢুকছি না। আমি আপনাদের বলতে চাইছি, কেন পুরস্কারের জন্য এই দুই ভারতীয় মেয়েকেই বেছে নিলেন জুরিরা। অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট প্রভা নামে এক নার্সের গল্প। স্বামী তাঁর সঙ্গে থাকেন না। একদিন হঠাত্‍ করেই সেই স্বামী প্রভাকে একটি উপহার পাঠান। আর উপহার পাওয়ার পরই বদলে যায় প্রভার জীবন। প্রভার সঙ্গে তাঁর বন্ধু অনুর সম্পর্ক। জঙ্গলে বেড়াতে গিয়ে জীবনকে অন্যভাবে আবিষ্কার করা। পায়েলের ছবি যতটা নারী স্বাধীনতার কথা বলে, তার চেয়েও বেশি বলে বন্ধুত্বের কথা। অদ্ভুতভাবে দ্য শেমলেসও আপাদমস্তক বন্ধুত্বের গল্প। দিল্লি থেকে পালিয়ে উত্তর-পূর্বে আশ্রয় নেওয়া এক যৌনকর্মীর সঙ্গে অন্য এক যৌনকর্মীর বন্ধুত্বের গল্প। তাতে এসেছে ধর্ম, রাজনীতির মতো বিষয়। দেখুন উপন্যাস হোক বা সিনেমা। এই মুহূর্তে বন্ধুত্বই ফিরে ফিরে আসছে। কান চলচ্চিত্র উত্‍সবেও স্পষ্ট হল সেই ট্রেন্ড।

ভারতে খেলাধুলোয় ঐতিহাসিক কামব্যাক। এনিয়ে যদি কোনও বই লেখা হয়। তাহলে এক বাঙালি অ্যাথলিট মেয়েকে বাদ দিয়ে আর সেটা সম্ভব নয়। তিনি কার্যত বাতিলের খাতাতেই চলে গিয়েছিলেন। প্যারিস অলিম্পিকের টিকিট পাননি। সেরা ফর্মের ধারেকাছেও ছিলেন না। ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার ২১ মাসের জন্য নির্বাসনে যেতে হয়েছিল। নির্বাসন কাটিয়ে ফিরলেন। আর ফিরলেন কীভাবে? এশিয়ান চ্যাম্পিয়ানশিপে প্রথম ভারতীয় হিসাবে সোনা জিতলেন দীপা কর্মকার। তাসখন্দে এশিয়ান জিমন্যাস্টিকসের ফাইনালে জীবনের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স করলেন দীপা। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে ইতিহাস তৈরি থেকে এক চুল দূরে থামতে হয়েছিল দীপাকে। ভল্ট ইভেন্টে চতুর্থ হয়েছিলেন তিনি। তবে ফাইনালে দীপার প্রাদুনোভা ভল্ট দুনিয়াকে চমকে দিয়েছিল। রিও অলিম্পিকের পর দীর্ঘদিন সাফল্যের বাইরে ছিলেন। চোট-আঘাতে ভুগেছেন। অপারেশন হয়েছে। পড়তি ফর্মের সঙ্গে নেমে এসেছিল নির্বাসনের খাঁড়া। সবাই যখন দীপা কর্মকার নামটাই ভুলে যেতে বসেছে। ঠিক তখনই জীবনের সেরা পারফরম্যান্স করলেন তিনি।

Follow Us:
অলিম্পিকে গিয়ে আমাদের অ্যাথলিটরা ঠিকমতো ডিম খেতে পারছেন না
অলিম্পিকে গিয়ে আমাদের অ্যাথলিটরা ঠিকমতো ডিম খেতে পারছেন না
ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন নাতাশা স্তানকোভিচ, তা নিয়েই এখন আলোচনা!
ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন নাতাশা স্তানকোভিচ, তা নিয়েই এখন আলোচনা!
যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তের বিচ্ছেদের গুঞ্জনে তোলপাড় টলিউড
যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তের বিচ্ছেদের গুঞ্জনে তোলপাড় টলিউড
এক ট্যাবলেটেই দীর্ঘ জীবন!
এক ট্যাবলেটেই দীর্ঘ জীবন!
কার্গিলে তিনের বিরুদ্ধে একের লড়াই! ১৬ হাজার ফুট উপরে কীভাবে লড়াই?
কার্গিলে তিনের বিরুদ্ধে একের লড়াই! ১৬ হাজার ফুট উপরে কীভাবে লড়াই?
রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য, তবুও ঢালাও অনুদান! উৎসবে হাত খোলা, চাকরিতে কবে?
রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য, তবুও ঢালাও অনুদান! উৎসবে হাত খোলা, চাকরিতে কবে?
২০২৪ সালে মহানায়ক সম্মান উঠছে কোন কোন শিল্পীর হাতে?
২০২৪ সালে মহানায়ক সম্মান উঠছে কোন কোন শিল্পীর হাতে?
বান্ধবীর মৃত্যুদিনে তাঁর নামেই অপপ্রচার, নিন্দার ঝড় সমাজমাধ্যমে
বান্ধবীর মৃত্যুদিনে তাঁর নামেই অপপ্রচার, নিন্দার ঝড় সমাজমাধ্যমে
বাড়ল স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন, বাজেটে কী পেল মধ্যবিত্ত?
বাড়ল স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন, বাজেটে কী পেল মধ্যবিত্ত?
কোন ছবির শুটিং করতে গিয়ে ঘটে এমনটা? সবটা জানালেন ভিকি নিজেই...
কোন ছবির শুটিং করতে গিয়ে ঘটে এমনটা? সবটা জানালেন ভিকি নিজেই...