Israel War Situation: মিশর জানিয়েছে তারা বর্ডার ওপেন করবে না, ইজরায়েল যেন রাফায় অভিযান চালিয়ে বিপর্যয় না ডেকে আনে!

Israel’s War: এবার রাফাও মাটিতে মিশে গেলে এই সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে ভাবুন। আমেরিকা-ইউরোপ ইজরায়েলকে সংযত থাকতে বলছে। আমার মনে হয় এসব লোক দেখানো কথার কথা। তারা জোর করলে নেতানিয়াহু এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারতেন না। তাই আমাদের ভবিতব্য হল আরও হাজার হাজার নিরীহ মানুষের মৃত্যু দেখার জন্য অপেক্ষা করা।

Israel War Situation: মিশর জানিয়েছে তারা বর্ডার ওপেন করবে না, ইজরায়েল যেন রাফায় অভিযান চালিয়ে বিপর্যয় না ডেকে আনে!
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2024 | 10:42 PM

একটা ছোট্ট আবদ্ধ জায়গার মধ্যে গাদাগাদি করে বেঁচে আছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। শিশুরা আছে। আছেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। অন্তঃসত্ত্বা মহিলারাও। সেখানে ঢুকবে আর্মি ট্যাঙ্ক। ছুটবে গোলাগুলি। বেঘোরে মারা যাবেন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। যে কোনও সময়ে রাফায় গ্রাউন্ড অপারেশন শুরু করতে চলেছে ইজরায়েলি সেনা। সেনার সব প্রস্তুতি সারা। মিশর সীমান্তে ইতিমধ্যেই জড় হয়েছে প্রায় চল্লিশটি ইজরায়েলি ট্যাঙ্ক। অপেক্ষা শুধু সরকারের গ্রিন সিগন্যালের। আর গ্রিন সিগন্যাল দেওয়ার মালিক ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও শুনিয়ে রেখেছেন সেনাকে বাধা দেওয়ার কোনও ইচ্ছাই তার নেই। মিশর সীমান্তে গাজা স্ট্রিপের ছোট্ট শহর রাফা। বাকি গাজা মাটিতে মিশে গেছে। শুধু এই জায়গাটুকুই আস্ত আছে। উত্তর এবং দক্ষিণ গাজার বাকি অংশের উদ্বাস্তুরা পালিয়ে এসে রাফায় ঠাঁই নিয়েছেন, সঙ্গে এখানকার স্থায়ী বাসিন্দারা তো আছেনই। সবমিলিয়ে মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ। ইজরায়েলি সেনার দাবি হামাস জঙ্গিরাও অন্যান্য জায়গা থেকে পালিয়ে এসে রাফাতে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে জঙ্গি নেতারাও আছেন। সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে আছেন তাঁরা। তাই হামাসকে সমূলে নিকেশ করতে রাফাতেও স্থল অভিযান চালাতে হবে। আমেরিকা-ফ্রান্স নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছে। যে আপনি কিছুতেই সেনাকে রাফায় অপারেশন চালানোর অনুমতি দেবেন না।

কায়রোয় মিশর ও ইজরায়েলের প্রতিনিধিদের কথা হয়েছে। মিশর জানিয়েছে তারা বর্ডার ওপেন করবে না। ইজরায়েল যেন রাফায় অভিযান চালিয়ে বিপর্যয় না ডেকে আনে। তবে নেতানিয়াহু তাতে পাত্তা দেবেন বলে মনে হয় না। রাফার সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৪০ হাজার তাঁবু কিনেছে ইজরায়েলি সেনা। রাফা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে খান ইউনিস শহরের ধ্বংসাবশেষে সেই তাঁবু খাটানো হচ্ছে। একেকটা তাঁবুতে ১০ জন করে থাকতে পারেন। তাহলে খুব বেশি হলে ৪ লাখ মানুষকে সরানো যাবে। বাকি ৬ লাখ কোথায় যাবেন। কোনও উত্তর নেই। উত্তরে ইজরায়েলি সেনার পাহারা। দক্ষিণে মিশর সীমান্তে গেট বন্ধ। পূর্বে ইজরায়েলের কাঁটাতার। আর পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর। রাফায় সাধারণ মানুষ কার্যত খাঁচাবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। সেখানে চলবে সেনা অভিযান। গাজায় ইজরায়েলের বোমা-গুলিতে ইতিমধ্যেই ৩৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৮০ হাজার ছুঁইছুঁই। এবার রাফাও মাটিতে মিশে গেলে এই সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে ভাবুন। আমেরিকা-ইউরোপ ইজরায়েলকে সংযত থাকতে বলছে। আমার মনে হয় এসব লোক দেখানো কথার কথা। তারা জোর করলে নেতানিয়াহু এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারতেন না। তাই আমাদের ভবিতব্য হল আরও হাজার হাজার নিরীহ মানুষের মৃত্যু দেখার জন্য অপেক্ষা করা।

Follow Us: