Khardah Money Recovery: শিক্ষকের ‘বড় ব্যবসা’, বাড়িতে ডাঁই করে রাখা ৩২ লক্ষ টাকা!
Money Recovery: সরকারি হোক বা বেসরকারি, যেকোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কশিট বের করে দিতেন অমিতাভ দাস! তবে একা কি এহেন বিশাল চক্র চালানো সম্ভব?
খড়দহ: রাজ্যে ফের টাকার পাহাড়। খড়দহে নাথুপাল রোডে এক অধ্যাপকের বাড়ি থেকে মিলল লক্ষ লক্ষ টাকা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অধ্যাপকের ফ্ল্যাটে চিরুনি তল্লাশি চালায় ব্যারাকপুর কমিশনারেট, আর তখনই আলমারির ব্যাগ ও খাটের নীচে মেলে ৩২ লক্ষ টাকা! অধ্যাপকের নাম অমিতাভ দাস। এত টাকা কীভাবে এল অধ্যাপকের বাড়িতে?
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরীক্ষার্থীর থেকে লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে জাল সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করে দিতেন এই অধ্যাপক। বিএ অনার্স থেকে এমএ হোক বা ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ফেল করলে সব পড়ুয়াদেরই ‘ত্রাতা’ হিসাবে হাজির হতেন এই অধ্যাপক, খবর সূত্রের। স্বল্প পরিসরে বেশি টাকা রাখার জন্য শুধু ২,০০০ টাকার নোট রাখা হয়েছিল বলে জানাচ্ছে পুলিশ। অমিতাভ দাসের স্ত্রী বর্ণালী দাসকেও জেরা করছে পুলিশ, খবর সূত্রের।
সরকারি হোক বা বেসরকারি, যেকোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কশিট বের করে দিতেন অমিতাভ দাস, খবর গোয়েন্দা সূত্রে। তবে একা কি এহেন বিশাল চক্র চালানো সম্ভব? চক্রের পিছনে রয়েছে কোন বড় মাথা? এ বিষয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন তদন্তকারী গোয়েন্দারা। এলাকাতেও কারওর সঙ্গেই খুব একটা সদ্ভাব ছিল না অমিতাভর, জানাচ্ছেন স্থানীয়রাই।