Basirhat Nazrul Park: ইছামতীতে ডুবছে গোটা পার্ক!
কবি নজরুল ইসলামের আবক্ষ মূর্তি সহ গোটা একটি পার্ক ইছামতীর গর্ভে বিলীন হতে বসেছে। বসিরহাটের টাকি পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের হাসনাবাদে ইছামদী নদীর পাড়ে নজরুল বিনোদন সৈকতটি নদীবাঁধের ভাঙ্গনের দরুণ ক্রমশ নষ্ট হতে বসায় এলাকাবাসী উৎকণ্ঠায় রয়েছে।
কবি নজরুল ইসলামের আবক্ষ মূর্তি সহ গোটা একটি পার্ক ইছামতীর গর্ভে বিলীন হতে বসেছে। বসিরহাটের টাকি পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের হাসনাবাদে ইছামদী নদীর পাড়ে নজরুল বিনোদন সৈকতটি নদীবাঁধের ভাঙ্গনের দরুণ ক্রমশ নষ্ট হতে বসায় এলাকাবাসী উৎকণ্ঠায় রয়েছে। বলাবাহুল্য, ২০১১ সালে তৃণমূল পরিচালিত টাকি পৌরসভা তৎকালীন চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ইছামতি নদীর পাড়ে ৫০০ মিটার জায়গা নিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে এই পার্কটি তৈরি করা হয়েছিল। শিশু ও বয়স্কদের অবসর সময় কাটানো ছাড়াও টাকির পর্যটকদেরও বসার জন্য একটি বিশ্রামাগার তৈরি হয়েছিল এই বিনোদন পার্কে। একদিকে ইছামতি নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের একটি বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা, অন্যদিকে মাঝি মোল্লারা দূর দুরান্ত থেকে এসে ওখানে বসে বিশ্রাম নিত। নিরাপদ জায়গায় সময় কাটাতে। দুই বাংলার দুর্গা প্রতিমার বিসর্জনের সময় বহু দর্শনার্থী এসে এখানে বসে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতেন। ইছামতীর বাঁধের ভাঙ্গন ধীরে ধীরে গিলে খাচ্ছে নজরুল পার্কের পুরো অংশটা। এর একদিকে রয়েছে শিবলিঙ্গ। বটগাছের নিচে সেই শিবলিঙ্গটাও ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে নদীগর্ভে। অন্যদিকে রয়েছে নজরুলের আবক্ষ মূর্তি। যা পুরোপুরি নদী গর্ভে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, এ ব্যাপারে উদাসীন প্রশাসন। পৌরসভা ও সেচ দপ্তরকে বারবার জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এই সৈকত দুই বাংলার স্মৃতি বিজড়িত ‘নজরুল সৈকত’ হিসাবে পরিচিত। তাই টাকি-হাসনাবাদ মানুষ দুই বাংলার মেলবন্ধনের সৌন্দর্যের নিদর্শন হিসেবে এটি সুরক্ষিত রাখার আবেদন জানান। টাকি পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর উমা মন্ডল বলেন, “বারবার টাকি পৌরসভাকে বলা সত্ত্বেও পার্কটির সংস্কার হয়নি। দুই বাংলার স্মৃতি বিজড়িত এই নজরুল পার্ক বহু ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। বিশেষ করে টাকিতে বিসর্জনের সময় বহু দর্শনার্থী থেকে শুরু করে পর্যটকরা এখানে এসে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতো। আমরা চাই দ্রুত এই নজরুল সৈকত সংস্কার করে পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে দিক প্রশাসন।”