Jadavpur University Death News: ‘ফেঁসে গেছে তার ছেলে’
তাঁদের ছেলে পরোপকারি। স্বপ্নদীপকে সাহায্য করতে গিয়েছিল। পুলিশকে জানিয়েছিল ঘটনার কথা। আর পুলিশ তাকেই গ্রেফতার করে নিল। এমনই দাবি গ্রেফতার হওয়া আসিফ আনসারির মা ও বাবার।
তাঁদের ছেলে পরোপকারি। স্বপ্নদীপকে সাহায্য করতে গিয়েছিল। পুলিশকে জানিয়েছিল ঘটনার কথা। আর পুলিশ তাকেই গ্রেফতার করে নিল। এমনই দাবি গ্রেফতার হওয়া আসিফ আনসারির মা ও বাবার। বাবা মহম্মদ আফজল ও মা ইসরত পরভীন বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন ও মূর্ছা যাচ্ছেন। তাঁদের বিশ্বাস বড় ছেলে আসিফ আনসারি এমন কাজ করতে পারে না। সে খুবই সহজ সরল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় ধৃত আসানসোলের বাসিন্দা মহম্মদ আসিফ আনসারির বাড়ি উত্তর আসানসোল রেলপার কেটি রোড। বাবা আফজাল আনসারি কাপড়ের ফেরি করেন, মা ইসরত পরভীন গৃহবধূ। হৃদ রোগে আক্রান্ত। পরিবারের আর্থিক অবস্থা দুর্বল। টালির চাল। আফজল আনসারি তিন ছেলে এক মেয়ে। আসিফ বড় ছেলে। ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার। চতুর্থ বর্ষ। তাকে নিয়েই পরিবারের যত স্বপ্ন। ধৃত আসিফের বাবা ও মা জানান ঘটনার দুদিন পর আসানসোলের বাড়িতে এসেছিল তাঁদের ছেলে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফোন করে বারবার ডাকায় সে দু দিন পরেই চলে যায়। সে বাবা মা কে জানিয়েছে এই ঘটনায় সে যুক্ত নয়। তবে ঘটনার কয়েকদিন আগে থেকে স্বপ্নদ্বীপ যখন ভয়ভীত হয়ে গেছিল তখন সাহায্য করেছিল। স্বপদীপকে বন্ধুর মত সাহায্য করে মা বাবার সঙ্গে কথা বলিয়েছিল। আসিফের বাবা জানান মঙ্গলবার রাত ১০-১১ টার মধ্যে ছেলের সঙ্গে বাবার কথা হয়েছে। ছেলে তখন পড়াশোনা করছিল। রাত দেড়টা নাগাদ তারা জানতে পারে ছেলে আসিফ সহ কয়েকজনকে পুলিশ নিয়ে গেছে। আনসারি পরিবারের দাবি তারা আর্থিকভাবে দুর্বল। আফজাল তার তিনটি ছেলেকে কষ্ট করে পড়াশোনা করাচ্ছে। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। আফজাল ও তার স্ত্রী ভেবে উঠতে পারছে না কি করবে তারা। এই ঘটনার পর পাড়া প্রতিবেশিদের কাছে আলোচনা করে আইনজীবী নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয় আনসারি পরিবার।