Dhupguri News: জন্ম সার্টিফিকেট নেই, স্কুলে ঘাড় ধাক্কা শিশুকে
খোলা আকাশের নিচে শিক্ষা আলোর লাভের চেষ্টা খুদে শিশুর। যা দেখে হতবাক শহর। প্রশ্ন তুলছেন প্রশাসন এবং শিক্ষা দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে। শিক্ষা মানুষের জীবনের মৌলিক অধিকার। তাই স্কুল ছুটদের স্কুল মুখি করতে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে
নেই জন্ম সার্টিফিকেট তাই স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হল শিশুকে । নেওয়া হলো না ভর্তি। ঠাঁই হল ফুটপাতে। খোলা আকাশের নিচে শিক্ষা আলোর লাভের চেষ্টা খুদে শিশুর। যা দেখে হতবাক শহর। প্রশ্ন তুলছেন প্রশাসন এবং শিক্ষা দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে। শিক্ষা মানুষের জীবনের মৌলিক অধিকার। তাই স্কুল ছুটদের স্কুল মুখি করতে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ঠিক উল্টো ছবি দেখা গেলো ধুপগুড়িতে। রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে পড়াশোনা করছে দুই শিশু। পিতৃহারা,মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী এই পরিবার। তাই পেটের দায়ে ধুপগুড়ি জেলা পরিষদ ইন্সপেকশন বাংলো গেটের সামনে ফুটপাতে পানের দোকান চালানোর পাশাপাশি পড়াশোনাও করছে সেই দুই শিশু।
স্কুলে ভর্তির জন্য গিয়েছিলেন কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ দূর দূর করে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। কারণ শিশুর জন্ম সার্টিফিকেট নেই বলে দাবি। আর সেই কারণে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হতে বসেছে ৭ বছরের শিশু কন্যাটি। স্কুলে পড়াশুনার জায়গা হয়নি বলে চায়ের দোকানের পাশে ফুটপাতে বসেই শিক্ষিত হওয়ার চেষ্টা খুদে শিশু । অর্থের অভাব তাই গৃহশিক্ষক ও জুটেনি । শিশুদের পড়ার প্রতি অদম্য আগ্রহ দেখে পথ চলতি মানুষ মাঝেমধ্যে তাদের পড়াশোনা দেখিয়ে দিচ্ছেন। কেউ আবার হাত ধরে লেখাও শিখিয়ে দিচ্ছেন এমনই ছবি দেখা গেল ধুপগুড়িতে। প্রশ্নের মুখে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের ভূমিকা।
যদিও ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে সাফাই দিয়েছেন স্কুল পরিদর্শক তাপস দাস। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন টিভি নাইন বাংলার সামনে। এই বিষয়ে ধুপগুড়ি পৌরসভার ১৪নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ধুপগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার শিং বলেন তাদের যদি কোন সমস্যা ছিলো তাহলে সংবাদ মাধ্যমের কাছে না গিয়ে আমাকে অভিযোগ জানাতে পারতেন। বিষয়ব্যবস্থা নেবটি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ।