পি এম আবাসে সুদ ভর্তুকির নিয়ম বদল

বহু মানুষকে ভাড়া বাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে থাকার উত্‍সাহ জুগিয়েছে। এটা ফ্যাক্ট। অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। তবে, যাঁরা এই স্কিমের কথা মাথায় রেখে এইবার বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার কথা ভাবছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকে কিছুটা হলেও নিরাশ হতে পারেন।

পি এম আবাসে সুদ ভর্তুকির নিয়ম বদল
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2024 | 12:11 AM

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রথমবার বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে হোম লোনের সুদে ভর্তুকির ব্যবস্থা। এই প্রকল্প সারা দেশে বহু মানুষকে ভাড়া বাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে থাকার উত্‍সাহ জুগিয়েছে। এটা ফ্যাক্ট। অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। তবে, যাঁরা এই স্কিমের কথা মাথায় রেখে এইবার বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার কথা ভাবছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকে কিছুটা হলেও নিরাশ হতে পারেন। কারণ, সরকার পিএম আবাসের সাবসিডির নিয়মে কিছু পরিবর্তন করেছে। কিছু নতুন জিনিস যোগও হয়েছে। বুঝতেই পারছেন, জরুরি বিষয়। জেনে রাখা দরকার। আমি এক এক করে বলি। এতদিন নিয়ম ছিল বছরে ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত পারিবারিক আয় হলে প্রথমবার বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে হোম লোনের সুদে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি মিলবে। বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মাপ হতে হবে সর্বাধিক ২০০ বর্গ মিটার বা ২ হাজার ১৫০ বর্গ ফুট। নতুন নিয়মে সুদ ভর্তুকি পাওয়ার এলিজিবিলিটি বছরে ১৮ লাখ টাকা আয় থেকে কমে হল ৯ লাখ টাকা। ইন্টারেস্ট সাবসিডি ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে কমে হলো ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মাপ ২০০ বর্গ মিটার থেকে কমে হল ১২০ বর্গ মিটার বা তেরোশো বর্গফুট। বলা হয়েছে যে সর্বোচ্চ ৩৫ লাখ টাকা দামের বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে সর্বাধিক ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হোম লোনে ৪ শতাংশ সাবসিডি মিলবে। ক্রেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতিবছর ৫টা ইনস্টলমেন্টে সাবসিডির টাকা জমা পড়ে যাবে। সরকার বলছে, প্রকৃত অর্থেই যাঁদের আয় কম, তাঁরাই যাতে সুদে ছাড় পান। গরিব পরিবারগুলো যাতে আরও বেশি করে এই প্রকল্পের সুবিধা পায়। সেজন্যই পিএম আবাসে এই কাটছাঁটগুলো করা হয়েছে। গরিব মানুষের কথা ভেবে এই প্রকল্পে আরও কিছু বদল করা হয়েছে বলেও দাবি সরকারের। যেমন আগে নিয়ম ছিল বছরে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় এমন কোনও পরিবার যদি নিজেদের জমিতে বাড়ি করতে চায়। তাহলে ১ লাখ টাকা দেবে সরকার। সেটা বাড়িয়ে আড়াই লাখ টাকা করা হয়েছে। সঙ্গে জুড়েছে আরেকটা নতুন স্কিমও। বলা হয়েছে যে শহরাঞ্চলের পরিযায়ী শ্রমিক। ছাত্রছাত্রী ও কর্মরত মহিলাদের জন্য হস্টেল তৈরি করলে affordable rental housing স্কিমে ইনসেনটিভ মিলবে। ৩০ বর্গ মিটার পর্যন্ত ঘরের ক্ষেত্রে ইনসেনটিভের পরিমাণ হবে দেড় লাখ টাকা। এইসব হস্টেলের ভাড়া ২ বছর অন্তর সর্বাধিক ৮ শতাংশ বাড়ানো যাবে। ৫ বছরে ২০ শতাংশের বেশি ভাড়া বাড়ানো যাবে না। সরকারি সাহায্যে তৈরি এই ধরনের হস্টেলের লিস্ট ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকবে। সেখান থেকে যে কেউ বুকিংও করতে পারবেন।

Follow Us: