Basirhat News: অপরাধ, সে অন্তঃসত্ত্বা
বসিরহাটের হাড়োয়া থানার সোনাপুকুর-শংকরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুচিয়ামোড়া গ্রামের ঘটনা। পরিবার সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক দেড় বছর আগে দেখাশোনা করে কুচিয়ামোড়া গ্রামের বছর ২৭ এর পেশায় মানিব্যাগ কারিগর মারুফ হোসেনের সঙ্গে গোপালপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুকুরিয়া গ্রামের বিনা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল।
বসিরহাটের হাড়োয়া থানার সোনাপুকুর-শংকরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুচিয়ামোড়া গ্রামের ঘটনা। পরিবার সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক দেড় বছর আগে দেখাশোনা করে কুচিয়ামোড়া গ্রামের বছর ২৭ এর পেশায় মানিব্যাগ কারিগর মারুফ হোসেনের সঙ্গে গোপালপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুকুরিয়া গ্রামের বিনা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর ছবিনা খাতুন জানতে পারে তার স্বামীর আগে একটি বিয়ে হয়েছিল এবং তার একটি সন্তানও রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ছবিনা খাতুন প্রতিবাদ করে।
তখন স্বামী মারুফ হোসেন তাকে শর্ত দেয় কোনরকম ভাবেই অন্তঃসত্ত্বা হওয়া যাবে না। পরবর্তীতে ২২ বছরের যুবতী অর্থাৎ ছবিনা খাতুন চার মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েন। আর ঠিক তখনই আপত্তি জানায় স্বামী মারুফ হোসেন, শাশুড়ি মাসুদা বিবি ও শ্বশুর শাখার আলি মোল্লা। এদিন রাতে ছবিনা খাতুনকে বেধড়ক মারধর করে ও তার পেটেও লাথি মারে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অপরাধে। খবর পেয়ে দাদা বদরউদ্দিন গাজী এবং মা আমেনা বিবি ছুটে যায় যুবতীর বাড়িতে তাকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু সেখানেই ঘটে বিপত্তি অর্থাৎ অন্তঃসত্ত্বা বধূ তার মা এবং তার দাদাকে বেধড়ক মারধর করে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে।
দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার পর স্থানীয় বাসিন্দারা হাড়োয়া থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে। তারপর পুলিশের সহযোগিতায় আহত তিনজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করানো হয় হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। ইতিমধ্যে স্বামী মারুফ হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দেয় হাড়োয়া থানার পুলিশ। স্বামী মারুফ হোসেন, শাশুড়ি মাসুদা বিবি এবং শ্বশুর শাখার আলী মোল্লার বিরুদ্ধে হাড়োয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে হাড়োয়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

