Basirhat News: গৌড়েশ্বর নদীতে জীবনের ঝুঁকি
নদীর পাড়ে বাঁশের ফেরিঘাট। প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় স্কুল পড়ুয়া থেকে নৌকা যাত্রীদের। বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের গৌড়েশ্বর নদীর এক প্রান্তে বিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অপর দিকে সান্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েত।
নদীর পাড়ে বাঁশের ফেরিঘাট। প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় স্কুল পড়ুয়া থেকে নৌকা যাত্রীদের। বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের গৌড়েশ্বর নদীর এক প্রান্তে বিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অপর দিকে সান্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েত। দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে গৌড়েশ্বর নদী। প্রতিদিন প্রচুর স্কুল পড়ুয়া, কলেজ ছাত্র ছাত্রী থেকে নিত্য যাত্রীরা নৌপথে যাতায়াত করে। নদী পার করে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে যেতছ হয়। অন্যদিকে অনেকেই বসিরহাট শহরে প্রতিদিনই যান। বেশ কয়েক বছর ধরে নদীর পাড়ের বাঁশের ফেরি ঘাট বেহাল ও ভগ্নদশায় পড়ে রয়েছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। দুটি পঞ্চায়েতের প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ এই নদীপথের পরিবহন ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল। বারবার ব্লক প্রশাসনকে জানানোর পরেও কোন সুরহা হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, রোগী পারাপারে অসুবিধা হয়, তেমনই বাইক বা সাইকেল নিয়ে পার হতে গেলে অসুবিধায় পড়তে হয়। এই ফেরিঘাট দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে কখনো কখনো নদীতে পড়ে প্রাণহানির মতো বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা থেকে যায়। আর এই সমস্যা যেন তাদের এক নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের একটাই প্রশ্ন, প্রশাসনের কাজের অনিহাকে আর কতদিন পাথেয় করে চলতে হবে? কবে ভাঙবে প্রশাসনের এই ঘুম, তার অপেক্ষাতেই রয়েছে সুন্দরবনের প্রায় কুড়ি হাজার বাসিন্দা। ঘটনাটি নায়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তারা বলছেন, “টেন্ডার হয়ে গিয়েছে, তা সত্ত্বেও ঘাটের কাজ শুরু হচ্ছে না।” যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে সান্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইকবাল আহমেদ মুকুল বলেন, “বিরোধীরা অকারণে মিথ্যে কথা বলছে। আসলে কোন টেন্ডার হয়ইনি। তবে আমরা চেষ্টা করবো ঘাটটি যাতে দ্রুত সংস্কার হোক।”