Jalpaiguri Sand Scam: প্রশাসন ব্যস্ত পুজোয়, চলছে বালি-পাথর লুঠ
সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চলছে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পাথর লুট। পেছনে রয়েছে বালি পাথর মাফিয়া দের হাত। যার কারণে বর্ষায় দেখা দিচ্ছে নদী ভাঙ্গন। বানারহাটের ধূপগুড়ি থানার অন্তর্গত সাঁকোয়াঝোরা -১ নং গ্রাম নেপালি বস্তি আংরাভাসা নদী , রাঙাতি নদী , গিলান্ডি নদী থেকে চলছে বালি পাথর চুরি করে পাচার । এমনি ছবি আংরাভাসা এলাকায়
কালী পুজো নিয়ে যখন ব্যাস্ত পুলিশ প্রশাসন সেসময় দেদার চলছে ডুয়ার্সের নদী থেকে বালি পাথর লুট। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চলছে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পাথর লুট। পেছনে রয়েছে বালি পাথর মাফিয়া দের হাত। যার কারণে বর্ষায় দেখা দিচ্ছে নদী ভাঙ্গন। বানারহাটের ধূপগুড়ি থানার অন্তর্গত সাঁকোয়াঝোরা -১ নং গ্রাম নেপালি বস্তি আংরাভাসা নদী , রাঙাতি নদী , গিলান্ডি নদী থেকে চলছে বালি পাথর চুরি করে পাচার । এমনি ছবি আংরাভাসা এলাকায় । ইতি মধ্যেই কয়েক বছরের বর্ষায় বেশ কয়েকজন বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এমনকি বিঘার পর বিঘা চাষের জমিও নদী গর্ভে চলে গিয়েছে।
অভিযোগ , এভাবেই দিনের পর দিন চলছে নদী থেকে পাথর লুট। একবারে অভিনব কায়দায় নদী থেকে পাথর তুলে টিউবে করে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়ে সেগুলো মজুত করা হচ্ছে পাশেই। তারপর সেখান থেকেই লরিতে করে তুলে পাচার করা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।
বিরোধীদের অভিযোগ, তৃনমূল ও পুলিশ প্রশাসনের মদতেই চলছে এই ভাবে নদী থেকে অবৈধ ভাবে পাথর লুট। সব দেখেও নীরব প্রশাসন। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং নিজে একাধিকবার প্রশাসনিক সভা থেকে এই অবৈধ বালি পাথর পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছে। তারপরও কিভাবে চলছে প্রকাশ্যে দিনের দুপুরে এভাবে নদী থেকে পাথর লুট।
প্রশ্ন হচ্ছে তবে কি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে আমল দেন না বালি পাথর মাফিয়ার? পুলিশ পারছে না নাকি পুলিশ ধরছে না এই প্রশ্নই কিন্তু এখন হচ্ছে? সূত্রের খবর, ধুপগুড়ি থানায় পুলিশ প্রশাসনের একাংশ সরাসরি এর সঙ্গে যুক্ত । তাই বালি পাথর মাফিয়া রাজ সাহস পাচ্ছে এভাবে প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে নদী চুরি করতে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে পরিবেশ প্রেমীরা। অবিলম্বে যাতে এই সমস্ত অবৈধ বালি পাথর পাচার বন্ধ হয় তা প্রশাসনের নজরে আনবেন তারা। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার খান্ডাবাহালে উমেশ গণপতের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।