Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Slovakia's Prime Minister Shot: কলম ছেড়ে হাতে বন্দুক, স্বাধীনতায় হাত পড়ায় ক্ষোভ?

Slovakia’s Prime Minister Shot: কলম ছেড়ে হাতে বন্দুক, স্বাধীনতায় হাত পড়ায় ক্ষোভ?

TV9 Bangla Digital

| Edited By: আসাদ মল্লিক

Updated on: May 16, 2024 | 9:34 PM

Slovakia's PM Shot: জুরাজের ছেলের দাবি, গত বছর বন্দুকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন তাঁর বাবা। সেই আবেদন মঞ্জুরও হয়েছিল। তবে বাবা কবে কোথা থেকে বন্দুক জোগাড় করলেন, সেটা ছেলের জানা নেই। স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোর বিরুদ্ধে ইদানিং দেশবাসীর একাংশ ক্ষুব্ধ ছিলেন।

রাজনৈতিক সভা শেষের পর সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে লক্ষ করে গুলি চালালেন এক ব্যক্তি। পরপর পাঁচবার। আততায়ী ৭১ বছরের জুরাজ সিনটুলা। স্লোভাকিয়া এমনিতে শান্ত দেশ। খুনোখুনি দূরে থাক। বড়সড় মারামারিও তেমন একটা হয় না। সেখানে কিনা গতকাল গুলি খেলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। আরও অদ্ভুত ব্যাপার হল, যিনি প্রধানমন্ত্রীকে খুন করতে গুলি চালালেন। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য বা সন্ত্রাসবাদী নন। বরং তার অন্য একটা পরিচয় আছে। জুরাজ নামে এই বৃদ্ধ ব্যক্তি আদতে একজন কবি। তাঁর তিন-তিনটি কবিতার বইয়ের সঙ্কলন আছে। আছে ছোটগল্প ও প্রবন্ধের বইও। লেভিস শহরের বাসিন্দা জুরাজ ইউরোপের প্রথম সারির এনজিও ইউরোপিয়ান রাইটার্স ফোরামের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এক দশক আগে সংস্থাটি তৈরি করেন জুরাজ-সহ আরও কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক। শিল্পীদের ওপরে রাষ্ট্রের খাঁড়া নেমে এলে তাঁদের আইনি সহায়তা দিতে এর আগে রেনবো রাইটার্স বলে একটা সংস্থাও খুলেছিলেন জুরাজ ও তাঁর বন্ধুরা। ভদ্রলোক সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে গিয়ে দেখলাম, বুধবারের আগে ওঁর বিরুদ্ধে কোনওদিন কোনও হিংসাতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠেনি। ২০২২ সালে লেভিসের রাস্তায় তিনদিন ধরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়। তাঁর নেতৃত্বে ছিলেন জুরাজ। তবে সেই আন্দোলন থেকেও কোনও হিংসা ছড়ায়নি। এমন একজন লোক হঠাত্‍ প্রধানমন্ত্রীকে গুলি করতে গেলেন কেন? স্লোভাকিয়ার পুলিশ কিছু জানায়নি। জুরাজের ছেলের দাবি, গত বছর বন্দুকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন তাঁর বাবা। সেই আবেদন মঞ্জুরও হয়েছিল। তবে বাবা কবে কোথা থেকে বন্দুক জোগাড় করলেন, সেটা ছেলের জানা নেই। স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোর বিরুদ্ধে ইদানিং দেশবাসীর একাংশ ক্ষুব্ধ ছিলেন। অভিযোগ ছিল ক্ষমতায় আসার আগে ফিকো যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। গদিতে বসার পর তা ভুলে গেছেন। উল্টে সমালোচনা সইতে না পেরে সংবাদমাধ্যম আর এনজিও-র ওপর নানা বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেন। এসবের জন্যই কি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে মন থেকে মেনে নিতে পারছিলেন না কবি জুরাজ? সেই জন্যই কি এমন একটা কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন? মধ্যে ইউরোপের ছোট্ট দেশটায় এখন এই প্রশ্নই ঘুরছে।