Jadavpur University News: ছেলের মৃত্যুর বিচার মেলেনি…
দুচোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ছেলেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পাঠিয়েছিলেন নিম্ন মধ্যবিত্ত বাবা মা। কিন্তু ছেলে ফিরে আসেনি। সাত বছর আগে বাড়িতে ফিরেছিল ছেলের লাশ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থেকে বিচার চেয়ে কখনো মৃত পড়ুয়ার পরিবার ছুটে গেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে, কখনো আবার পুলিশের কাছে। কিন্তু আজো বিচার মেলেনি। b
দুচোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ছেলেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পাঠিয়েছিলেন নিম্ন মধ্যবিত্ত বাবা মা। কিন্তু ছেলে ফিরে আসেনি। সাত বছর আগে বাড়িতে ফিরেছিল ছেলের লাশ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থেকে বিচার চেয়ে কখনো মৃত পড়ুয়ার পরিবার ছুটে গেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে, কখনো আবার পুলিশের কাছে। কিন্তু আজো বিচার মেলেনি। ফের একবার যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যু। এবার অন্তত বিচার পাক মৃত পড়ুয়া আকূল আর্তি সাত বছর আগে ছেলেকে হারানো বাঁকুড়ার ছত্রআড়া গ্রামের সৌমিত্রর মা এর। বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের ছত্রআড়া গ্রামের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মে বেড়ে ওঠা সৌমিত্র দে র। ছোট থেকেই বেশ মেধাবী ছোট ছেলে সৌমিত্রকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল বাবা পেশায় চাষি লক্ষণ দে ও মা চন্দনা দে র। গ্রামের স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ সেরে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিধন বিদ্যামন্দির দর্শন বিভাগে স্নাতক করেন সৌমিত্র। প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে স্নাতকোত্তরের জন্য ভর্তি হন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানের হোস্টেলে থেকেই চলত পড়াশোনা। স্নাতকোত্তরের তৃতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা চলার ফাঁকে ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর দুপুরে আচমকা টেলিফোনে বাড়িতে খবর আসে সৌমিত্র হোস্টেলে নিজের রুমে সিলিং ফ্যানে গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সৌমিত্রর পরিবার আজো মনে করেন সৌমিত্র আত্মহত্যা করতে পারেনা। তাকে র্যাগিং এ খুন করে ঘটনা ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছিল। ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ও দোষীদের বিচার চেয়ে বিস্তর ছোটাছুটি করেছিল সৌমিত্রর পরিবার । কিন্তু প্রত্যন্ত ছত্রআড়া গ্রামের সৌমিত্রর পরিবারের সেই দাবী বিশেষ আমল পায়নি কোথাও। সময়ের সাথে সাথে সুবিচার পাওয়ার আশা ছেড়েছিল সৌমিত্রর পরিবার। কিন্তু ফের যাদবপুরে ছাত্রর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা সাত বছর পর ফের নতুন করে শোকের আবহ ফিরিয়ে এনেছে ছত্রআড়া গ্রামের দে পরিবারে। যাদবপুরে ফের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনা শোনার পর থেকেই বারেবারে ডুকরে কেঁদে উঠছেন সৌমিত্রর মা। তিনদিন ধরে বন্ধ বাড়ির রান্নাবান্না, খাওয়া দাওয়া। সৌমিত্র র মায়ের এখন একটাই চাওয়া তাঁরা সুবিচার না পেলেও যেন এই পড়ুয়ার ক্ষেত্রে তেমনটা না হয়। যেন দোষীদের ফাঁসি হয়। সাত বছর আগে যাদবপুরে সন্তান হারানো আরেক মায়ের কাতর আর্তি কী পৌঁছাবে কর্তৃপক্ষের কানে? দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি পাবে কী প্রকৃত দোষীরা? তার উত্তর দেবে সময়ই।