AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cyber Crime: প্রতারণার শিকার খোদব্যাঙ্ক ম্যানেজার

Cyber Crime: প্রতারণার শিকার খোদব্যাঙ্ক ম্যানেজার

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Sep 26, 2023 | 3:46 PM

Share

এতদিন শোনা যাচ্ছিল আধার দিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট জালিয়াতি শিকার হচ্ছিল সাধারণ মানুষ। এবার খোদ ব্যাংক কর্তার একাউন্টে হানা সাইবার অপরাধীদের। ব্যাংক ম্যানেজারের একাউন্ট থেকেই মোবাইল ফোনের সিম ক্লোন করে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রায় ২ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল জেলা সদর তমলুকে।

এতদিন শোনা যাচ্ছিল আধার দিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট জালিয়াতি শিকার হচ্ছিল সাধারণ মানুষ। এবার খোদ ব্যাংক কর্তার একাউন্টে হানা সাইবার অপরাধীদের। ব্যাংক ম্যানেজারের একাউন্ট থেকেই মোবাইল ফোনের সিম ক্লোন করে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রায় ২ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল জেলা সদর তমলুকে। এমনই অভিযোগ জানিয়ে ইতিমধ্যেই তমলুক থানার দারস্ত হয়েছেন তমলুকের একটি বেসরকারি ব্যাংকের ওই ম্যানেজার। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের নাগপুর এলাকার বাসিন্দা শচীন লক্ষণ রাউত। বর্তমানে তিনি তমলুকের পাদুমবসান এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাংকের তমলুক শাখায় রিলেশনশিপ ম্যানেজার পদে কর্মরত রয়েছেন। সেই সূত্রেই বিগত প্রায় ৬ বছর থেকে তিনি তমলুকেরই অস্থায়ী বাসিন্দা। এমন অবস্থায় চলতি মাসের গত ১৯ তারিখ বিকেল ৩:৪২ নাগাদ ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং চলাকালীন তার মোবাইল ফোনে একটি ফোন আসে। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে তার ব্যবহৃত দুটি ক্রেডিট কার্ডের লিমিট দ্রুত শেষ হচ্ছে বলে সতর্ক করা হয়। এবং সেই সঙ্গে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি এই দুটি ক্রেডিট কার্ড এর ক্ষেত্রে আনুয়াল চার্জ লাঘু হচ্ছে বলেও খানিকটা চমকে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও কোনো রকম ভাবেই বিচলিত না হয়ে ব্যাংকের ম্যানেজার শচীন লক্ষণ রাউত ফোন কেটে দেন। আর এই ঘটনার মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই তার মোবাইল ফোনে দুটি ওটিপি আসে। এবং মুহূর্তেই তার দুটি ক্রেডিট কার্ডের থেকে ৯৯৫০০ ও ৯০ হাজার করে মোট দু দফায় ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকা গায়েব হয়ে যায়। স্বাভাবিক কারণে এমন কাণ্ডে বেশ খানিকটা হতভম্ব হয়ে যান ওই ব্যাংকের ম্যানেজার। ঘটনার কথা সবিস্তারে জানিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি প্রতারকদের বিরুদ্ধে তমলুক থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিযোগ, ফোনের ওপর প্রান্তে থাকা প্রতারকদের কোন রকমের তথ্য শেয়ার না করলেও অত্যন্ত ধূর্ততার সঙ্গেই ওই ব্যাংক ম্যানেজারের মোবাইলের সিম ক্লোন করে এই প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গেই সাইবার প্রতারণার এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে শহর জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। ব্যাংকে টাকা রেখে সুরক্ষা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন আমানতকারীদের মনে! যদিও এ বিষয়ে তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সাকিব আহমেদ বলেন, ঘটনার খবর আমরা পেয়েছি পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে দেখা যাক কু তথ্যে উঠে আসে। ‘ব্যাংক ম্যানেজার শচীন লক্ষণ রাউত বলেন,জো হুয়া মেরে সমঝকি বাহার হ্যায়। আভি জো চল রহা হে কুচ ভি হো সাকতা হে। ‘সিকিউরিটি সিস্টেম একেবারেই প্রায় ভেঙে পড়েছে। তাই যে কোন মুহূর্তে আরো বড় কিছুই ঘটতে পারে যে কারো সঙ্গেই। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।