Tarapith Temple: আজ মা তারার আবির্ভাব দিবস
আজ শুক্লা চতুর্দশী। মা তারার আবির্ভাব দিবস। কথিত আছে শুক্লা চতুর্দশীর তিথিতেই মা তারার আবির্ভাব হয়েছিল। সেই আবির্ভাব দিবসে মা তারাকে পুজো দেওয়ার ভীড় তারাপীঠে। কথিত আছে জয় দত্ত নামে এক বনিক দ্বারকা নদীর উপর দিয়ে নৌকায় চড়েবাণিজ্য করতে যাচ্ছিলেন।
আজ শুক্লা চতুর্দশী। মা তারার আবির্ভাব দিবস। কথিত আছে শুক্লা চতুর্দশীর তিথিতেই মা তারার আবির্ভাব হয়েছিল। সেই আবির্ভাব দিবসে মা তারাকে পুজো দেওয়ার ভীড় তারাপীঠে। কথিত আছে জয় দত্ত নামে এক বনিক দ্বারকা নদীর উপর দিয়ে নৌকায় চড়েবাণিজ্য করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি তারাপীঠে নোঙর করেছিলেন। সেখানে সাপের কামড়ে তার পুত্রের মৃত্যু হয়েছিল।
তারাপীঠে নোঙর করায় বণিকের ভৃত্য রান্না করার জন্য একটি কাটা শোল মাছ পাশের একটি পুকুরে ধুতে যায়। পুকুরের জলের সংস্পর্শে আসতেই কাটা শোল মাছটি জীবিত হয়ে পুকুরের গভীরে চলে যায়। ভৃত্যরা এই অলৌকিক ঘটনাটি বনিককে জানালে, বনিক সর্পদংশনে মৃত তার পুত্রকে সেই পুকুরের জলে স্নান করাতে শুরু করে। তখন মৃত পুত্র জয় তারা, জয় তারা উচ্চারন করতে করতে বেঁচে ওঠেন। তখনই বনিক বুঝতে পারেন এই পুকুরে কোন ঐশ্বরিক শক্তি আছে।
বর্তমানের সেই পুকুরটি জীবিত কুন্ড নামে খ্যাত। সেই রাতেই বনিককে স্বপ্ন দেন মা তারা। দিনটি ছিল শুক্লা চতুর্দশী। স্বপ্ন পেয়ে সেই দিনটিতেই তারাপীঠে মা তারার পুজো শুরু করেন বনিক জয় দত্ত। তাই প্রাচীন কাল থেকে এই দিনটিকে মা তারার আবির্ভাব দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। বছরের এই একটি দিনে মা তারাকে গর্ভগৃহ থেকে বের করে নিয়ে এসে মন্দিরের সামনে থাকা বিরাম মঞ্চে অধিষ্ঠিত করা হয়। দিনভর সেখানেই মা তারাকে পুজো দিতে পারেন পুর্ন্যার্থীরা। সন্ধ্যায় আরতির পর ফের মা তারাকে মূল মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আজকের দিনে মা তারাকে দুপুরে কোন ভোগ নিবেদন করা হয় না। তাই এই দিনটিতে মা তারার সেবাইতেরাও উপবাস থাকেন। সন্ধ্যায় ভোগ নিবেদনের পর উপবাস ভঙ্গ করেন তারা।