AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Goghat News: এখনও কত শিশু দেখেনি রেলগাড়ি

Goghat News: এখনও কত শিশু দেখেনি রেলগাড়ি

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Moumita Das

Updated on: Sep 13, 2023 | 5:18 PM

Share

সমাজ উন্নত হয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতেও এসে পৌঁছেছে এন্ড্রয়েড ফোন। তবে এটা শুধু শহর ও শহরতলী সহ বেশ কিছু গ্রামের ছবি। প্রত্যন্ত অনুন্নত গ্রাম-গঞ্জে এখনো অন্ধকারেই আছে। এমনই একটি গ্রাম গোঘাটের নকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিপুকুর।

সমাজ উন্নত হয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতেও এসে পৌঁছেছে এন্ড্রয়েড ফোন। তবে এটা শুধু শহর ও শহরতলী সহ বেশ কিছু গ্রামের ছবি। প্রত্যন্ত অনুন্নত গ্রাম-গঞ্জে এখনো অন্ধকারেই আছে। এমনই একটি গ্রাম গোঘাটের নকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিপুকুর। অ্যান্ড্রয়েড ফোন তো দুর অন্ত এখানে গ্রামের মানুষজনের দুবেলা দু মুঠো ঠিকভাবে খাবারও জোটে না। গ্রামের মানুষজন সকলেই কৃষি কাজে যুক্ত দিনমজুরি করে সংসার চলে। অভাবের তাড়নায় গ্রামের ছেলে মেয়েরা আগে স্কুল মুখ হত না। বর্তমানে গ্রামের ৩০ জন ছাত্রছাত্রী বিদ্যালয় পড়াশোনা করে। গ্রামের মানুষের কাছে শিক্ষকরা ভগবান তুল্য। ছোট্ট ছোট্ট ছেলে মেয়েদের স্কুলের মাস্টারমশাইয়ের কাছে আবদার তারা রেলগাড়ি স্বচক্ষে দেখেনি। তাদের রেলগাড়িতে চাপাতে হবে। গোঘাটের নকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩০ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। এই এলাকার প্রত্যেকটি মানুষই হতদরিদ্র দিনমজুর কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত। এলাকাটি আবার বন্যা কবলিত প্রত্যন্ত গ্রাম। আধুনিকতার কোন ছোঁয়ায় পৌঁছায়নি গ্রামে। মালিপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি মেটাতে ৫ জন অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে ২৫ জন ছোট্ট ছোট্ট ছাত্রছাত্রীকে রেলগাড়ীতে চড়ালো। ছাত্রছাত্রীরাও ভীষণ খুশি। তারকেশ্বর স্টেশনে নেমে, চলমান সিঁড়ি দেখে বেশ কয়েকবার ওঠানামাও করল। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে তারকেশ্বর স্টেশন চত্বরে ডেঙ্গু সচেতনতা ও “গাছ লাগান গাছ বাঁচান” একটি কর্মসূচি ও করেন। তারপর আবারও হাওড়া থেকে গোঘাট গামী লোকাল ট্রেনে চেপে গোঘাট স্টেশনে ফিরে আসে ছাত্রছাত্রীরা। তবে শুধু ছাত্র-ছাত্রীরা নয় অভিভাবকরাও রেলগাড়িতে চাপতে পেরে খুবই খুশি।