Durga Puja 2023: দাগল ৩বার, ফিরলেন বিশালাক্ষী
রাজ রাজড়াদের পুজোর সাথে যেমন জড়িয়ে থাকে হাজারো গল্প তেমনই এই পুজোগুলির সাথে জড়িয়ে থাকে ভিন্ন ধরনের নানারকম আচার। যে আচারগুলি যুগ যুগ ধরে আর পাঁচটা পুজো থেকে পৃথক করে রাখে রাজ পরিবারের পুজোগুলিকে।
রাজ রাজড়াদের পুজোর সাথে যেমন জড়িয়ে থাকে হাজারো গল্প তেমনই এই পুজোগুলির সাথে জড়িয়ে থাকে ভিন্ন ধরনের নানারকম আচার। যে আচারগুলি যুগ যুগ ধরে আর পাঁচটা পুজো থেকে পৃথক করে রাখে রাজ পরিবারের পুজোগুলিকে। বাঁকুড়ার মল্ল রাজার কূলদেবী মৃন্ময়ী পুজোর সাথেও তেমনই জড়িয়ে রয়েছে ভিন্ন ধরনের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান। দশমীর রাতে পুজো সমাপনেও সেই ভিন্ন ধরনের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান দেখা গেল মল্ল রাজমন্দিরে। সাধারণত বারোয়ারি বা পারিবারিক পুজোগুলিতে দশমীর ঘট বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ঘোষিত হয় পুজা সমাপনের বার্তা। তবে বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজ কূলদেবীর ক্ষেত্রে নিয়মটা আলাদা।
এখানে দশমীর গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থাকে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান। প্রাচীন রীতি মেনে দশমীর সন্ধ্যায় একপ্রস্থ পুজো পাঠ সেরে রাজ মন্দির থেকে রাজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল বিশালাক্ষী দেবীকে। সারাবছর বিশালাক্ষী মুর্তি রাজবাড়ির অন্দরের মন্দিরে থাকলেও পুজোর শুরুর দিনে ঘটা করে রাজবাড়ি থেকে মন্দিরে আনা হয় এই বিশালাক্ষীকে। পুজোর কয়েকটা দিন এই বিশালাক্ষীর অধিষ্ঠান হয় মৃন্ময়ীর মন্দিরেই। দশমীর সন্ধ্যায় ফের ঘটা করে রাজ পুরোহিত সেই বিশালাক্ষীকে ফিরিয়ে নিয়ে যান রাজ বাড়িতে। রীতি মেনে বিশালাক্ষীর রাজবাড়িতে প্রবেশের মূহুর্তে ফের স্থানীয় মুর্ছা পাহাড় থেকে তিনবার গর্জে ওঠে কামান।
বিশালাক্ষী রাজবাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর মৃন্ময়ীর মন্দিরে দই এর মধ্যে চ্যাঙ মাছ ছেড়ে দেন রাজ পরিবারের সদস্যরা। এরপর রাজ পরিবারের সদস্যরা সাদা পায়রা উড়িয়ে ঘোষণা করেন পুজা সমাপনের বার্তা। কথিত আছে একসময় মল্ল রাজারা মৃন্ময়ীর মন্দিরে নিজে হাতে দশমীর রাতে নীলকন্ঠ পাখি উড়িয়ে মৃন্ময়ী পুজা শেষের বার্তা ঘোষণা করতেন। বর্তমানে নীলকন্ঠ পাখি না মেলায় তার বদলে সাদা পায়রা উড়িয়ে দেন রাজ পরিবারের সদস্যরা। রাজ পরিবারের দাবী এই পায়রা ওড়ানোর মধ্য দিয়ে শুধু পুজা সমাপনের বার্তা ঘোষণা করাই নয় পাশাপাশি অশান্ত পৃথিবীকে শান্তি স্থাপনের বার্তাও দেওয়া হয়।

