Panchayat Election 2023: বিধায়ক বনাম সাংসদ!
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা মানুষের মৃত্যু নিয়ে ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবির বিস্ফোরক বক্তব্য দিয়েছেন। প্রাক্তন আইপিএস বলেছেন,বাঙালি হিসেবে আমি মর্মাহত এবং লজ্জিত এত মানুষ খুন হলেন আটকানো গেল না এ সবার ব্যর্থতা।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা মানুষের মৃত্যু নিয়ে ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবির বিস্ফোরক বক্তব্য দিয়েছেন।প্রাক্তন আইপিএস বলেছেন,বাঙালি হিসেবে আমি মর্মাহত এবং লজ্জিত এত মানুষ খুন হলেন আটকানো গেল না এ সবার ব্যর্থতা। দলের বিধায়কের এই বক্তব্যের পাল্টা হুমায়ূনকে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।
আরামবাগের সাংসদ তার টুইটার হ্যান্ডলে লেখেন, আই পি এস হুমায়ূন কবির যা বলেছেন, কে বলিয়েছে জানা খুবই সহজ।উনি যখন সিপি চন্দননগর ছিলেন,তখন তেলিনীপাড়ায় দাঙ্গা হয়।সেটা যদি তদন্ত হয়,আইপিএস কবির সাহেব ফাঁসবেন।চুঁচুড়ার বড় বড় অপরাধী ওনার স্মরণে ছিল।সিপিএম সরকার থাকার সময় মালদা মুর্শিদাবাদ,উত্তর ২৪ পরগনায় ওনার দোষে অনেক তৃণমূল কর্মী মারা গেছেন। এনিয়ে কি একটু মুখ খুলবেন?তখন কি বাংলায় বাঙালী থাকত না।কার কথাতে আপনি তৃণমূলের এম এল এ টিকিট পেলেন।আপনি তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষতি করেছেন।
আপনি তৃণমূলের এমএলএ আছেন।সিপি থাকা কালিন সাকির আলি(অপরূপার স্বামী রিষড়ার কাউন্সিলর)অভিযোগ এনেছিল তখন আপনাকে বাঁচিয়ে সাকির আলিকে বলি করা হলো।আপনি সিপি হিসাবে জাল কারবাইন ধরেছেন অপরাধীদের সঙ্গে ষরযন্ত্র করে।সেখানে সরকারের কোন স্বার্থ ছিল না, আপনার নিজের স্বার্থ ছিল।গত বছর আপনার বাড়িতে কি ঘটনা ঘটেছিল সেটা কি টুইট করতে হবে?আপনি সংখ্যালঘুদের মুখ হিসেবে দলকে চাপে ফেলার চেষ্টা করবেন না।আপনি বাম আমলে পুলিশ অফিসার থাকাকালীন অনেক সংখ্যালঘুকে হত্যা করেছেন মনে করে দেখুন।
এদিন রিষড়ার বাড়ি থেকে অপরূপা বলেন,রাজনীতির লোক নাহলে সমাজের যেকোনো লোক সে টোটোওয়ালায় হোক বা আইপিএস অফিসার এরকম ভুল ভাল বকে।হুমায়ূন সাহেব নিজেই বলছেন ২০০৮ সালে মুর্শিদাবাদে নির্বাচনের দিন অনেক মানুষ খুন হয়েছিলেন তো তখন তিনি কিছু বলেননি কেন?২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলায় ভারতীয় জওয়ানরা মারা গিয়েছিল ভারতবাসী হিসেবে লজ্জিত ছিলেন না গর্বিত ছিলেন সেটা কেন বলেননি?আজকে অনেক বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু জেনে রাখবেন আমরা যা হয়েছি সবই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। হয়তো ওনার মনোমতো হয়নি ডেবরায় প্রার্থী হয়নি সেই কারণেই এই ধরনের ভুলভাল বকছেন।আপনি চন্দননগর সিপি থাকাকালীন কত মানুষকে এনডিপিএস কেস দিয়েছেন।যে জীবনে একটা ছুঁচো মারেনি তাকেও আপনি এনডিপিএস কেস দিয়েছেন।
আপনি বলছেন বর্ধমান সিপিএমের দুর্গ ছিল। আপনি কে হে মশাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেখে মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। আর আপনার শ্বশুর তো সিপিএমের নেতা ছিল।পুরো বর্ধমান জানে। আপনি কার জন্য কি করেছেন সেটা মানুষ জানে আর ঈশ্বর জানে।আপনি মনে রাখবেন আপনি সংখ্যালঘুদের মুখ নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের মুখ বাংলার নয় গোটা দেশের।মনে রাখবেন জনগণের পঞ্চায়েত হবে। যতই বিরোধীদের সঙ্গে মিলে দলের কিছু লোক ইন্ধন দিক ঘরের শত্রু বিভীষণ।।