২৫০ কোটি খরচে তৈরি হল শ্রীক্ষেত্র, জগন্নাথ মন্দির কি বাড়াবে দিঘার পর্যটন?
পুরীর পর বাংলায় নতুন শ্রীক্ষেত্র। হুবহু পুরীর ধাঁচে জগন্নাথ মন্দির তৈরি হল দিঘায়। উদ্বোধনের পরই রাজ্যবাসী ভিড় করছেন দিঘায় জগন্নাথ দর্শনে। বাড়ছে পর্যটন। কিন্তু এই মন্দির ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনীতিও। রাজ্যের বিরোধী দলের অভিযোগ সনাতনী ভোটব্যাঙ্ককে টার্গেট করতেই এই মন্দির তৈরি। পাশপাশি উদ্বোধনের দিন দিলীপ ঘোষের উপস্থিতি অস্বস্তি বাড়িয়েছে বিজেপির। রাম মন্দিরের পর আবার নতুন মন্দির রাজনীতি?
বাঙালির কাছে পুরীর মাহাত্ম্যই আলাদা। শ্রীক্ষেত্রে জগন্নাথধামের জনপ্রিয়তা শুধু বাংলাতেই থেমে নেই। সমুদ্র আর তীর্থক্ষেত্রের এমন যুগল পাওনা চট করে হাতছাড়া করা যায় না। শুধু বাংলা থেকেই নয়, দেশের নানা রাজ্য থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে পুরীতে। কিন্তু বেড়ানো কি কখনও খাওয়াদাওয়া ছাড়া ভাবা যায়! বিশেষ করে মিষ্টি। এই ব্যাপারে পুরীকে টক্কর দেওয়ার সাধ্য কার আছে? হ্যাঁ বাংলার আছে। এবার কি পুরীর মন্দির নিয়েও দড়ি টানাটানি শুরু?
এবার পুরীর থেকে জগন্নাথ দেবের আগমন এই বাংলায়। হুবহু পুরীর ধাঁচে জগন্নাথ মন্দির। পুজোর রীতিনীতি, বিগ্রহ, রথ— সবেতেই পুরীর আদল। যজ্ঞেও হাজির পুরীর দয়িতাপতি। একটুকরো পুরীর ছোঁয়া যেন দিঘার সমুদ্রের ধারে। দেবমাহাত্ম্য কাকে বলে জানেন তো? দিঘার আকাশ রোদ ঝলমলে আকাশের নিচে মন্দির প্রাঙ্গনে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাহেন্দ্রক্ষণ ছিল দুপুর ৩টে থেকে ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত। সেই ক্ষণেই মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হল। ইতিহাস সৃষ্টি হল পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে।
উড়িষ্যার পর বাংলাতেও জগন্নাথদেবের আগমন। কিন্তু এই মন্দিরের উদ্বোধনের আগেই থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। রাজ্যের বিরোধীদের অভিযোগ এই মন্দির শুধুই রাজনীতির স্বার্থে ঠিক যেমন লোকসভা ভোটের আগে রামমন্দির উদ্ভোদন নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। অভিযোগ উঠেছিল রাম রাজনীতির। ঠিক তেমন অভিযোগের সামনেই দাঁড়িয়ে রাজ্যের শাসক শক্তি বিধানসভা ভোটের আগে? সত্যি কোন রাজনীতি জড়িয়ে এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে? এই মন্দির তৈরি করতে খরচ হয়েছে কত? এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে কতটা উত্তেজিত বাংলার মানুষ? কোন আদলে তৈরি হয়েছে এই মন্দির?