AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Xi Jinping: আকস্মিক তিব্বত সফরে গিয়ে 'বড় খেলা' ছকে দিলেন জিনপিং!

Xi Jinping: আকস্মিক তিব্বত সফরে গিয়ে ‘বড় খেলা’ ছকে দিলেন জিনপিং!

TV9 Bangla Digital

| Edited By: সোমনাথ মিত্র

Updated on: Aug 23, 2025 | 5:40 PM

Share

তিব্বতের তথাকথিত ‘স্বায়ত্তশাসন’-এর ৬০ বছর পূর্তি। এই সময়েই গোটা দুনিয়াকে চমকে দিয়ে হঠাৎ রাজধানী লাসায় হাজির চিনা প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট হিসাবে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তিব্বতভূমে শি জিনপিং। তিব্বতের রাজধানী লাসায় দাঁড়িয়ে চিনা প্রেসিডেন্টের বার্তা, তিব্বতে বৌদ্ধধর্মকে সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সমাজতান্ত্রিক রীতিনীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। তিব্বতের ৬০ লক্ষ মানুষের সামনে এর থেকে […]

তিব্বতের তথাকথিত ‘স্বায়ত্তশাসন’-এর ৬০ বছর পূর্তি। এই সময়েই গোটা দুনিয়াকে চমকে দিয়ে হঠাৎ রাজধানী লাসায় হাজির চিনা প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট হিসাবে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তিব্বতভূমে শি জিনপিং। তিব্বতের রাজধানী লাসায় দাঁড়িয়ে চিনা প্রেসিডেন্টের বার্তা, তিব্বতে বৌদ্ধধর্মকে সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সমাজতান্ত্রিক রীতিনীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। তিব্বতের ৬০ লক্ষ মানুষের সামনে এর থেকে স্পষ্ট বার্তা আর কোনও চিনা প্রেসিডেন্ট আগে কখনও দেননি। দলাই লামার উত্তরাধিকার নিয়ে যখন চাপানউতোর তুঙ্গে, এবং ভারতও তাতে জড়িয়ে পড়েছে। তখনই এই ঘোষণা যে ইঙ্গিতবাহী, সে তো বোঝাই যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালে সেনা পাঠিয়ে তিব্বত দখল করেছিল চিনের কমিউনিস্ট পার্টি। ৯ বছর পর, ১৯৫৯ সালে চিনা আগ্রাসনের মুখে ছদ্মবেশে তিব্বত থেকে ভারতে চলে আসেন দলাই লামা। সেই থেকে ধর্মশালার প্রাসাদেই কাটিয়েছেন দলাই। ১৯৫০ সালে তিব্বতে ঢোকার সময় কমিউনিষ্ট সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তিব্বতিদের ধর্ম ও সংস্কৃতির উপর হাত পড়বে না। সেই আশ্বাস তিব্বতের বরফঢাকা পাহাড়ে হারিয়ে গিয়েছে। ছ দশক ধরে তিব্বতের স্বাধীনতার দাবি করলেও এখন দলাই লামাও মেনে নিয়েছেন, স্বাধীনতা না দেওয়া হোক, অন্তত তিব্বতিদের ধর্ম ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার গ্যারান্টি দিক চিন। এদিন শি জিনপিং বলেই দিলেন, ওসব হবে-টবে না। চিনের কাছে এখন এই দাবিরও কোনও মূল্য নেই। এখন শি জিনপিং প্রশাসন এত ছোটখাটো ব্যাপারে মাথা ঘামাচ্ছে না। তাঁদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনেক বড়। অনেক ব্যাপক।

চিনের লক্ষ্য শুধু ধর্মীয় বার্তা নয়, তিব্বতকে বানাতে চাইছে স্যাটেলাইট হাব ও ‘ইউনিভার্সাল মিসাইল সিটি’। সরকারি সংবাদমাধ্যম ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতকে একইসঙ্গে নিশানায় আনতে সক্ষম ১৩ হাজার কিলোমিটার পাল্লার মিসাইল তৈরির কাজ অনেকটা এগিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যেই সেই অস্ত্র পিপলস লিবারেশন আর্মির হাতে আসতে পারে।

ভারতও থেমে নেই। অগ্নি-৫ সফল পরীক্ষার পর জল, স্থল ও আকাশ থেকে হাইপারসোনিক মিসাইল নিয়ে একযোগে কাজ চালাচ্ছে ডিআরডিও-সহ অন্তত ৮টি প্রতিরক্ষা সংস্থা। ‘প্রলয়’-এর নতুন এয়ার ভার্সন হবে শব্দের গতির ছয় গুণ। সুখোই-৩০ থেকে এটি ছোড়া যাবে, ব্রহ্মসের থেকেও দ্বিগুণ গতি থাকবে এতে। ২০২৮ সাল নাগাদ পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সম্ভাবনা। তার আগেই নৌসেনার হাতে আসবে কে-৬ মিসাইল। শুধু তাই নয়, মহাকাশে শত্রুর টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম গোপন মিসাইল প্রকল্পেও হাত দিয়েছে ভারত। যদিও এবিষয়ে এখনও তত বেশি তথ্য উপলব্ধ নয়।