বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত অভিযান |দুই দেশের পতাকা উড়ছে পাশাপশি । পত্পত্ করে। সমুদ্র সৈকতের উত্তাল হাওয়ায়। দুই দেশের তরুণ অভিযাত্রীরা দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত সফর করলেন ।
বাংলার আকাশে যখন ২১ শে।জলপথে প্রথম ভারতীয় দল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত পায়ে হেটে পার করছে। বাংলাদেশের টেকনাফ ” শাহপরী”র সৈকত থেকে হাঁটা শুরু করেছিল ১৭ তারিখ,১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পৃথিবীর ইতিহাসে নতুন রেকর্ড |
হাওড়া এডভেঞ্চার স্পোর্টস এসোসিয়েশনের আর বাংলাদেশের অভিযাত্রীদের যৌথ অভিযান কাঁটাতার যেন ঘুচিয়ে দিলো।
তৃতীয় দিন যাত্রা শুরু হল ” পাটুয়ার টেক ” থেকে | কতটা কঠিন এই সৈকত যাত্রা? অভিযাত্রীদের এক জন এইভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন, “কাল রাতে তাবু খাটাতে হওয়ায় বেরোতে দেরি হয়েছিল | সারারাতে তাবু কুয়াশায় ভিজে গিয়েছিলো, রোদে ভেজা তাবু শুকিয়ে ফের শুরু করতে হবে যাত্রা | সেই সুযোগে আজ প্রাতরাশ সেরেই বেরিয়েছিলাম | আজ শুরু করতে করতে আমাদের সকাল ১০ টার কাছাকাছি হয়ে গিয়েছিলো | আজ পুরো রাস্তাটায় টুরিস্ট স্পটের ওপর দিয়েই যেতে হয়েছে | আজ আমরা সৈকত পরিষ্কার করতে করতে এগিয়ে গেছি | সৈকতে পরে থাকা প্লাস্টিক কুড়িয়ে তা প্রশাসনের নির্দিষ্ট ঠিক করে দেওয়া জায়গায় ফেলে দেই | আজ সকাল থেকে সবার শরীর চাঙ্গা থাকায় চলার গতি যথেষ্ট ভালোই ছিল | তবে আজ পথে, সমুদ্রের জল ঢুকে সৈকতে ছোট ছোট জলাশয় তৈরী হয়ে যাওয়ায় বারবার জুতো খুলতে হয়েছিল | ”
ইনানি পৌঁছে টুরিস্ট পুলিশ কিয়স্কে ডাব খেয়ে, ছোট একটি খাল অতিক্রম করে ফের জুতো পরে চলা শুরু | একে একে ইনানী পার্লস বিচ পেরিয়ে সোনারপাড়া তে চা, খেয়ে সোজা রাস্তা ধরে পথচলা শুরু | সামনেই বিশাল “রিজুখাল” , যা পায়ে হেটে পেরোনো যাবে না | তাই অগত্যা সৈকত ছেড়ে শুরু পিচ রাস্তা দিয়ে শুরু হলো পথ চলা | সৈকতে চলার পর পিচ রাস্তা ধরে চলা খুব কঠিন | একদিকে পায়ের ওপর চাপও পরে অন্য দিকে সামনে দিয়ে বিকট শব্দে গাড়ির চলাচল মানসিক অস্বস্তি তৈরী করছিলো | যাই হোক, ৩-৪ কিলোমিটার হাঁটার পর “হিমছড়ি”র একটি বনবিতানে | সেখানেই গাছপালা ঘেরা এলাকায় রাত্রিবাসের ব্যবস্থা | আর মাত্র 20 কিলোমিটার । লক্ষ্যমাত্রা ” নাজিরার টেক ” পৌঁছে গেলেন অভিযাত্রীরা | পাশাপাশি বিচহাইকিং বা কোস্টাল ট্রেকের ক্ষেত্রে নতুন একটা মাইলস্টোনও তৈরি হল। প্রথম ভারতীয় বা বিদেশী অভিযাত্রী হিসাবে এই দৃষ্টান্ত তৈরি করতে সক্ষম হলেন এপার বাংলার এই তরুণ তুর্কিরা। বাংলাদেশের ” Beach Hiking” সংগঠন সাহায্য করেছে। ইন্দো-বাংলা এই অভিযান বাংলাদেশের নতুন পর্যটনের রূপরেখা তৈরী হলো বলে দাবি করেছেন স্থানীয় প্রশাসন |