AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Viral Video: ২৭ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়ে রেকর্ড গড়েছেন ১০২ বছরের প্রবীণ দৌড়বীর!

Viral Video: জানা গিয়েছে, এবছর ১০০ মিটার দৌড়ে সাওয়াংয়ের যে সময় লেগেছে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত তো বটেই তাইল্যান্ডেরও নয়া রেকর্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Viral Video: ২৭ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়ে রেকর্ড গড়েছেন ১০২ বছরের প্রবীণ দৌড়বীর!
বর্শা ছোঁড়াতেও সমান পারদর্শী তিনি।
| Edited By: | Updated on: Mar 05, 2022 | 11:43 PM
Share

তাইল্যান্ডের অ্যাথলিট সাওয়াং জানপ্রাম (Thai athlete Sawang Janpram)। বয়স ১০২। সেঞ্চুরি হাঁকানো এই দৌড়বীর জগত বিখ্যাত (oldest sprinter in the Southeast Asian country)। জিতে নিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে প্রবীণ স্প্রিন্টারের খেতাব। মাত্র ২৭.০৮ সেকেন্ডে শতবর্ষ পার করা এই অ্যাথলিট জিতেছেন ১০০ মিটারের দৌড় (100-metre race)। তাইল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে সামুত সংখ্রাম প্রদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল championship’s 26th iteration। সেখানেই এই আশ্চর্য কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন ১০০ পেরনো প্রবীণ অ্যাথলিট। ১০০ থেকে ১০৫ বছরের তালিকায় সমস্ত সোনার পদক একাই জিতে নিয়েছেন সাওয়ান জানপ্রাম। সব প্রতিদ্বন্দ্বীকে ছাপিয়ে গিয়েছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, এবছর ১০০ মিটার দৌড়ে সাওয়াংয়ের যে সময় লেগেছে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত তো বটেই তাইল্যান্ডেরও নয়া রেকর্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে অবশ্য ওই ১০০ থেকে ১০৫ বছর বয়সীদের গ্রুপে কথাই বলা হয়েছে। তাইল্যান্ডের প্রবীণ দৌড়বীর সাওয়ান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রায় সব দেশেই পরিচিত নাম। এই অ্যাথলিট চারবার অংশগ্রহণ করেছেন অ্যানুয়াল তাইল্যান্ড মাস্টার অ্যাথলিট চ্যাম্পিয়নশিপে। মূলত ১০০ মিটারের দৌড়, বর্শা ছোঁড়া এবং discus events- এইসবেই অংশগ্রহণ করেন এই প্রবীণ স্প্রিন্টার। বয়সের ভারে হার না মেনে বরং সাওয়াং বলেন, খেলাধুলোর মধ্যে আছেন বলেই সুস্থ-সবল রয়েছেন। নিয়মিত শরীর চর্চা করেন বলে এই বয়সে খিদে এবং হজমশক্তি দুই-ই ভাল রয়েছে।

প্রতিদিন ৭০ বছরের মেয়ে সিরিপানের সঙ্গে হাঁটতে বেরোন সাওয়াং। বাড়ির সাধারণ কাজকর্ম যেমন- বাগান থেকে গাছের ঝরা শুকনো পাতা সরিয়ে ফেলা, এসবেও হাত লাগান তিনি। এত দীর্ঘ এবং সুস্থ-সবল জীবনের রহস্যের কথা কেউ জিজ্ঞেস করলে রোজনামচার গল্পই শোনান তাইল্যান্ডের এই প্রবীণ অ্যাথলিট। তবে প্রতিযোগিতার আগে পরিবর্তন হয় রোজের রুটিনে। সেখানেও সঙ্গে থাকেন মেয়ে সিরিপান। স্থানীয় একটি স্টেডিয়ামেই দিনে দু’বার করে এক সপ্তাহ ধরে দৌড় অভ্যাস করেন সাওয়াং। তাঁর মেয়েও বলেন, বাবার মনের জোর অসম্ভব। সবসময়েই পজিটিভ ভাবনা-চিন্তায় থাকেন। শুধু শারীরিক ভাবে নন, মনের দিক থেকেও সাওয়াং একদম ফিট।

সম্প্রতি তাইল্যান্ডের এই প্রবীণ দৌড়বীরেরই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেঞ্চুরি পার করেও তাঁর ফিটনেস দেখে রীতিমতো ঈর্ষান্বিত হয়েছেন তরুণ প্রজন্ম। অবাক হয়ে গিয়েছেন নেটিজ়েনরা। আর স্বাস্থ্য সচেতন এবং ফিটনেস ফ্রিকরা বলছেন, সত্যিই ওনাকে দেখে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। রয়টার্সের তরফে টুইটারে এই ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে।