Bankura: প্লাবিত এলাকায় এবার হাতির হানা, কঠিন পরীক্ষায় গ্রামের লোকেরা
Bankura: ভারী বৃষ্টিতে জল জমেছে সোনামুখী, পাত্রসায়র এলাকায়। ব্লকের বহু এলাকা দিনের পর দিন জলে ডুবে। ডুবেছে হেক্টরের পর হেক্টর জমির ফসলও। এরমধ্যে আবার বৃহস্পতিবার থেকে নতুন বিপদ জলজলা ও কমলাসায়র গ্রামে। এক বুনো হাতি তাণ্ডব চালায় এলাকায়।
বাঁকুড়া: একদিকে প্লাবনে ভাসছে বিস্তীর্ণ এলাকা। অন্যদিকে আবার হাতির হানা। জোড়া ফলায় চূড়ান্ত নাকাল হতে হচ্ছে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ব্লকের জলজলা ও কমলাসায়ের গ্রামের লোকজনকে। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে মাত্রাতিরিক্ত জল ছাড়ায় বাঁকুড়ার দামোদর সংলগ্ন সোনামুখী ও পাত্রসায়র ব্লক এলাকার বিস্তীর্ণ অংশে বন্যার জল ঢুকে পড়েছে।
ভারী বৃষ্টিতে জল জমেছে সোনামুখী, পাত্রসায়র এলাকায়। ব্লকের বহু এলাকা দিনের পর দিন জলে ডুবে। ডুবেছে হেক্টরের পর হেক্টর জমির ফসলও। এরমধ্যে আবার বৃহস্পতিবার থেকে নতুন বিপদ জলজলা ও কমলাসায়র গ্রামে। এক বুনো হাতি তাণ্ডব চালায় এলাকায়।
কোথাও ফসলের জমি শেষ করেছে, কোথাও আবার দোকানের শাটার ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চালিয়েছে। কোথাও আবার গবাদিপশুকে আহত করেছে, কোথাও বাড়িতে ঢুকে ধানের গোলা তছনছ করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্বনাথ রায় বলেন, “সকালে যখন খবর পাই ওদিকে হাতি এসেছে, আমরা ভাবলাম বন্যাদুর্গত এলাকায় আর হাতি কি আসবে? কিন্তু হঠাৎ দেখি এখানেও হাজির। খুব ভয়ে আছি।”
বন দফতরের আধিকারিক অমর মাজি বলেন, “সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ সকলেই পাবেন। একটা আইসিডিএস ঘর ভেঙেছে। গবাদি পশুর ক্ষতি হয়েছে, ধানের গোলাও ভেঙেছে।”