Sonamukhi Clash: নির্দল কাউন্সিলরের লোকজনের ভয়ে ‘কুঁকড়ে’ তৃণমূল! চাঞ্চল্যকর দাবি সোনামুখীতে
Bankura: সদস্য সমাপ্ত পুরভোটে সোনামুখী পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়েন বাবলি গোস্বামী। তাঁকে হারিয়ে এই ওয়ার্ডে জেতেন নির্দলের শুভ্রা রায়।
বাঁকুড়া: ভোটের সময় থেকে ‘হাইভোল্টেজ’ সোনামুখী পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। ভোটের ফল প্রকাশের পর সেখানে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ আরও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়। কারণ, তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে এখানে জয়ী হন নির্দলের মুখ। অভিযোগ, এই হার মানতে পারেননি তৃণমূলের প্রার্থী। এরপর থেকেই বারবার লক্ষ্য করা হচ্ছে নির্দলদের। বৃহস্পতিবার দোলের দিন তৃণমূল ও নির্দল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। এই ঘটনায় দু’পক্ষের পাঁচজন আহত হন। একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। দু’পক্ষই একে অপরকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছে। অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি, নির্দলের সমর্থকদের দাপটে ভয়ে ভয়ে থাকছেন তাঁরা।
আগামী ২৩ মার্চ বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী পুরসভায় বোর্ড গঠন হবে। স্থানীয়দের দাবি, তার আগে একটা চাপানউতর জারি রয়েছে এলাকায়। অভিযোগ, দোলের দিন তৃণমূল ও নির্দল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সোনামুখীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে নীলবাড়ি এলাকা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওয়ার্ডের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী ও চার নির্দল সমর্থক আহত হন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনটি বাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যা ঘিরে দিনভর উত্তপ্ত ছিল এলাকা।
সদস্য সমাপ্ত পুরভোটে সোনামুখী পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়েন বাবলি গোস্বামী। তাঁকে হারিয়ে এই ওয়ার্ডে জেতেন নির্দলের শুভ্রা রায়। এরপর থেকেই এলাকায় নিয়মিত গোলমালের আবহ তৈরি হচ্ছে। কাউন্সিলর শুভ্রা রায়ের অভিযোগ, দোলের দিন দুপুরে তাঁর বাড়িতে রং খেলতে এসেছিলেন তাঁর সমর্থকরা। সেখান থেকে ফেরার সময় তৃণমূলের লোকজন তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই হামলাকারীরা বাবলি গোস্বামীর অনুগামী বলেও অভিযোগ করেন কাউন্সিলর।
শুভ্রা রায়ের অভিযোগ, নৃশংসভাবে তাঁর অনুগামী, সমর্থকদের মারধর করা হয়। লাঠি, লোহার রড বাদ পড়েনি কোনও কিছুই। পাশাপাশি স্থানীয় বাউড়ি পাড়ায় একাধিক বাড়িতেও তৃণমূলের লোকজন ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। আক্রমণ থেকে বাদ যায়নি বাড়ির শিশুরাও। এই ঘটনায় চার নির্দল কর্মী গুরুতর জখম হন। তাঁদের প্রথমে সোনামুখী ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি খারাপ বুঝে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। যদিও তৃণমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, কাউন্সিলরের লোকজনই হামলা চালিয়েছেন।
এদিকে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী নিত্যানন্দ মহন্ত বলেন, “নির্দলের লোকেরা আমাদের উপর যে কেন চড়াও হল সেটাই বুঝলাম না। আমাদের বাবলিদির মাথায় মেরেছে। আমার ঘাড়ে মেরেছে। একজনকে এমন মেরেছে সে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। রীতিমত সন্ত্রাস করছে ওরা। আমরা সবসময় ভয়ে আছি। ভয়ে ভয়ে তৃণমূল দলটা করছি। আমাদের প্রায় চার পাঁচজন মার খেয়েছে বৃহস্পতিবার।”