Bank Robbery: বন্ধ ব্যাঙ্কের ভিতর ডাকাতদল, ‘সব গেল বুঝি’; ভয়ে কাঁটা আমানতকারীরা
Birbhum: অভিযোগ, বেশ কয়েকটি আলমারি খোলা অবস্থায় রয়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে কাগজপত্র। খোলা হয়েছে ক্যাশিয়ারের ড্রয়ারও। তবে ব্যাঙ্কের ভল্ট ভাঙতে পারেনি ডাকাতদল। ব্যাঙ্কের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাই এখন পুলিশের ভরসা। ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তথ্য় সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে।

বীরভূম: আবারও ব্যাঙ্কে ডাকাতদলের হানা। আবারও ঘটনাস্থল বীরভূম। কিছুদিন আগেই পারুইয়ের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। আর এবার নলহাটি। অভিযোগ, নলহাটি থানার কলিঠা গ্রামে একটি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের জানালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে ডাকাতদল। এলাকার বাসিন্দারা শনিবার ব্যাঙ্কের জানালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। এরপরই খবর দেওয়া হয় থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নলহাটি থানার পুলিশ।
এদিকে আজ ব্যাঙ্ক বন্ধ। তবে পুলিশ মোবাইল ফোনেই ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠানো হয় তাঁদের। ব্যাঙ্ক আধিকারিকরা আসার পরই তাঁদের সঙ্গে নিয়ে ব্যাঙ্কের ভিতর ঢোকে পুলিশ।
অভিযোগ, বেশ কয়েকটি আলমারি খোলা অবস্থায় রয়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে কাগজপত্র। খোলা হয়েছে ক্যাশিয়ারের ড্রয়ারও। তবে ব্যাঙ্কের ভল্ট ভাঙতে পারেনি ডাকাতদল। ব্যাঙ্কের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাই এখন পুলিশের ভরসা। ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তথ্য় সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্যাঙ্কের ভিতর থেকে দু’টি শাবলও পাওয়া গিয়েছে। ডাকাতদল এই শাবল নিয়ে ঢুকেছিল বলেই মনে করছে পুলিশ।
ওই ব্যাঙ্কের পাশে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে কাজ করেন তুষারি বেগম। তিনি বলেন, “সেন্টার খোলার পর দেখি পাশে ব্যাঙ্কের জানালা খোলা। ভিতরে উঁকি দিয়ে দেখি দরজাও ভাঙা। তখনই মনে হল কেউ ঢুকেছিল। এরপরই লোকজনকে ডাকি।”
ব্যাঙ্ক কর্মী সুমন্ত প্রামাণিক বলেন, “সকালে কলিঠা থেকে একজন ফোন করে জানান জানালা ভেঙে লোক ঢুকেছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমি ব্যাঙ্কে আসি। ম্যানেজার, ফিল্ড অফিসারকে খবর দিই। পুলিশ এসে নিশ্চিত করেছে ভল্ট ভাঙেনি। তবে কী কী নিয়ে গিয়েছে তা হয়ত কাজ করার সময়ই ধরা পড়বে।”





