‘কেন বাংলায় বিজেপির হার?’ বিশ্বভারতীতে আলোচনা চক্রের ডাক দিয়ে বিতর্কে উপাচার্য
Why BJP failed to win West Bengal Assembly Election?' অর্থাৎ, কেন বাংলার ভোটে বিজেপির পরাজয় - এই শীর্ষক একটি আলোচনা চক্রের ডাক দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়লেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakrabarty)।
শান্তিনিকেতন: একুশের ভোট পেরতেই আবারও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University) -এর উপাচার্য। ‘Why BJP failed to win West Bengal Assembly Election?’ অর্থাৎ, কেন বাংলার ভোটে বিজেপির পরাজয় – এই শীর্ষক একটি আলোচনা চক্রের ডাক দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়লেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakrabarty)।
গত ২ মে বাংলার ভোটের ফলাফল বেরিয়েছে। এর মধ্যে বাংলায় বিজেপির হার নিয়ে অনলাইনে আলোচনা চক্রের ডাক দিয়েছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে। তাতে জানানো হয়, আগামী ১৮ মে বিকেল চারটের সময় অনলাইন মাধ্যমে এই আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হয়েছে। তাতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রফেসর সঞ্জয় কুমার। যিনি নীতি আয়োগের (Niti Aayog) -এর সহ পরামর্শদাতাও বটে। অনলাইন মিটিংয়ের আইডি, পাসকোড-ও দিয়ে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট নোটিসে।
এই নোটিস প্রকাশ্যে আসার পরেই নিন্দার ঝড় ওঠে বিশ্বভারতীতে। প্রশ্ন ওঠে, এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের কোনো রাজ্যে জিত বা হার নিয়ে আলোচনা করতে পারে! এবং কেনই বা এই ধরনের আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে? অনেকেই দাবি করেন, উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তী আগেও বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন তাঁর রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রভাবিত করা। এবার এই আলোচনা চক্র ডেকে নিজেই বুঝিয়ে দিলেন, তিনি একটি বিশেষ রাজনৈতিক ‘দলের লোক’।
আরও পড়ুন: রবি নিয়ে উল্লাস নেই এবার! শুনশান বিশ্বভারতীতে বাজল না কবি কন্ঠ, ফিকে জোড়াসাঁকোও
এদিকে এই আলোচনা চক্রকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। বিশ্বভারতীর ছাত্র ছাত্রী ও আশ্রমিকদের একাংশের প্রতিবাদে শেষ পর্যন্ত এই আলোচনা চক্র বাতিলের কথা বলা হয়। সেই সিদ্ধান্তও নোটিসে জানানো হয়েছে।