TMC: ‘তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মদ খেয়ে এসে ভাতের থালা উল্টে দিল…’, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ গোপালকদের
Rampurhat: অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য মিহির দাসের বক্তব্য, "হতেই পারে না। আমি কাল ওখানে যাইনি। আজ সকালে সবটা শুনলাম।"
বীরভূম: মদ্যপ অবস্থায় গরুর বাথানে এসে ভাঙচুরের অভিযোগ। এই ঘটনায় নাম জড়াল স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের। সঙ্গে আরও দু’জন ছিলেন বলে অভিযোগ। দলবল নিয়ে এসে বাথানে ভাঙচুরের পাশাপাশি গোপালকদের খাবার ফেলে দেন বলেও অভিযোগ। গোপালকদের গায়ে হাত তোলারও অভিযোগ ওঠে। বুধবার রাতে রামপুরহাট (Rampurhat) থানার জেন্দুঁর গ্রামের এই ঘটনা। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যের নাম মিহিরকুমার দাস। তিনি বীরভূমের রামপুরহাট-১ নম্বর ব্লকের বনহাট গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য। যদিও অভিযোগ মানতে চাননি ওই সদস্য। তাঁর দাবি, তিনি এসবের কিছুই জানেন না।
অভিযোগ, বুধবার রাতে মিহির দাস বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মদ্যপ অবস্থায় গরুর বাথানে গিয়ে পৌঁছন বলে অভিযোগ। সেখানে বেশ কয়েকজন গোপালক থাকেন। মূলত তাঁরা বাইরের লোক। ফি বছর এই সময় এলাকায় আসেন। অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন। গরু চড়ানো, গোপালন, গরুর দুধ বিক্রি করে পয়সা রোজগার করেন। তাঁদের উপরই এদিন হামলা হয়। বাথানের দুই গোপালককে মারধর করা হয়। তাদের মধ্য একজন গোপালককে চিকিৎসার জন্য রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযুক্ত মিহির দাসের বক্তব্য, “হতেই পারে না। আমি কাল ওখানে যাইনি। আজ সকালে সবটা শুনলাম। ওখানে পাশের গ্রামের লোক যায়, আমাদের গ্রামেরও লোক থাকে। ওরা এসে মদ, গাঁজা খায়। রাস্তায় ছিনতাই বেড়েছে। মানুষের যাতায়াতে সমস্যা বেড়েছে। শুনলাম সকালে অশান্তি হয়েছে। কিন্তু কী হয়েছে, কেন হয়েছে জানি না। অভিযোগ কেউ করতেই পারে।”
নারু ঘোষ নামে এক গোপালক বলেন, “রাত ১১টা নাগাদ পঞ্চায়েত সদস্য মিহির দাস এসে হামলা করেন। ভাত খেতে দেয়নি। থালা কেড়ে ফেলে দেন। আমরা কোনওমতে পালিয়ে বাঁচি। আমরা এলাকার প্রধানকেও জানালাম। বললেন উনি দেখছেন। কিন্তু মিহির দাসের কথায় পুলিশ এসে আমাদের কথা শুনলই না। আমরা ভাত খাচ্ছিলাম। ভাত ফেলে একাকার করল। মুখে যা তা কথা।”
বিজেপির ব্লক সম্পাদক অশোক দত্ত জানান, ফি বছর এখানে আসেন এই গোপালকরা। নিরিবিলি জায়গায় থাকেন। নিজেদের মতো কাজ করেন। অশোক দত্তের কথায়, “আজ সকালে শুনলাম রাতে গিয়ে নাকি গোপালকদের উপর তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতী চড়াও হয়েছে। ওরা কাজের জন্য এখানে এসেছে। ওদের সঙ্গে তো কারও বিবাদ হওয়ার কথা নয়। কেন হল জানি না। মদ্যপ অবস্থায় এরকম অত্যাচার আগেও হয়েছে। এটা প্রশাসনের দেখা উচিৎ। পুলিশ কিছু করে না বলেই এত সাহস।”