Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘৫০ হাজার ভোটে হারাব’, দু’বছর পর বোলপুরে পা রেখে হুঙ্কার মনিরুলের

এবার বিজেপির টিকিটে লাভপুর কেন্দ্রে প্রার্থী মনিরুল? বিজেপি কার্যালয়ে বসে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য তৃণমূলত্যাগী নেতার

'৫০ হাজার ভোটে হারাব', দু'বছর পর বোলপুরে পা রেখে হুঙ্কার মনিরুলের
নিজস্ব ফটো
Follow Us:
| Updated on: Mar 02, 2021 | 11:20 PM

বীরভূম: দিন দুয়েক আগেই কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপির কার্যালয়ে তাঁকে দেখা গিয়েছিল মুকুল রায়ের সঙ্গে। তখন থেকেই লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম (Manirul Islam)কে বিজেপির প্রার্থী করা নিয়ে জল্পনা শুরু। সেই জল্পনা আরও গতি পেল মঙ্গলবার। দীর্ঘ দু’বছর পর বোলপুরের মাটিতে পা রাখেন একাধিক মামলায় অভিযুক্ত মনিরুল। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়ে তাঁর মন্তব্য, এখন আদালতের নির্দেশে লাভপুর থানা এলাকায় ঢুকতে পারছেন না। কিন্তু ভোটের আগেই অনুমতি পেয়ে যাবেন।

এদিন বোলপুরের বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে বসে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তোলেন মনিরুল। তাঁর দাবি, বীরভূম পাথরচাপুরি ও তারাপীঠের উন্নয়নের কাজে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তিনি তাতে অসহযোগিতা করেছিলেন বলে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা মারা হয়েছিল বলে অভিযোগ মনিরুলের। তাঁর কথায়, “আমি সই করিনি বলে আমার কাছে প্রশাসনের এক আধিকারিক সই করাতে গিয়েছিলেন, এমনকি এক পুলিশ আধিকারিক আমাকে ভাগের টাকা নিতেও জিজ্ঞেস করেছিলেন। বীরভূম জেলায় সব কাজেই কাটমানি দিতে হয়।”

প্রসঙ্গত, ‘১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে মনিরুল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় গেরুয়া শিবিরের একাংশের মধ্যেই তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছিল। তাঁদের দাবি ছিল যাঁর বিরুদ্ধে এতদিনের প্রতিবাদ, যিনি বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত তাঁকেই কেন দলে জায়গা দেওয়া হবে? যদিও এদিন মনিরুলের দাবি, তৃণমূল ত্যাগ করায় একের পর এক ভুয়ো মামলায় তাঁকে জড়ানো হয়। এমনকি মিথ্যা খুনের মামলাতেও ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে।

এদিন দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে মনিরুল ইসলামের আরও দাবি, লাভপুরে যথেষ্ট উন্নয়ন করেছেন তিনি। তার পর তৃণমূলকে নিশানা করে তাঁর হুঁশিয়ারি, “আর টাকা দিয়ে ভোট করা যাবে না। আমি লাভপুর থেকে ৫০ হাজার ভোটে হারাব তৃণমূল প্রার্থীকে।” তবে কি বিজেপির টিকিটে তিনিই প্রার্থী হচ্ছেন? এই প্রশ্নের অবশ্য স্পষ্ট উত্তর দেননি মনিরুল। তবে তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ভোটের আগেই আদালতের নির্দেশ মেনে আমি লাভপুরে ঢুকব।

আরও পড়ুন: ‘কেষ্টদার কথা কুকুরের লেজের মতো’, শোভনের আক্রমণে পাল্টা কুকথা অনুব্রতর

রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, একুশের নির্বাচনের আগে বীরভূমে মনিরুলের প্রবেশেই স্পষ্ট ইঙ্গিত যে লাভপুর বিধানসভা থেকে তিনিই বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন। তবে আর একটি সূত্র বলছে, মনিরুল নন, তাঁর ছেলে আসিফ পেতে পারেন বিজেপির টিকিট। এদিকে বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে মনিরুলের প্রবেশের সময় সেখানে জেলার বড় কোনও নেতা উপস্থিত ছিলেন না। অর্থাৎ, মনিরুলের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে দলের একাংশের মধ্যে এখনও যে বিরোধিতা আছে তা স্পষ্ট। এখন দেখার লাভপুর থেকে মনিরুল কিংবা তাঁর ছেলেকে বিজেপি টিকিট দেয় কিনা।