বনগাঁ: বুধবার রাতেই পৌঁছে গিয়েছিল আমন্ত্রণপত্র। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সভায় ঢোকার মুখে বাধা পেলেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত্ দাস (BJP)। পরে যদিও শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মধ্যস্থতায় কেটে যায় জট। সভাস্থলে ঢুকতে পারেন দিনকয়েক আগেই বিধানসভায় মমতাকে (Mamata Banerjee) ঢিপ করে প্রণাম করা বিধায়ক।
দিনকয়েক আগেই বিধানসভায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং করজোড়ে প্রণাম জানান মুখ্যমন্ত্রীকে। বিশ্বজিৎ দাস অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন। সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিধায়কদ্বয়ের ‘সৌজন্য’ নিয়ে তখনই জল্পনা ছড়িয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথাও হয়। তার পরেই যাবতীয় জল্পনা বৃদ্ধি পায়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যদিও হেস্টিংসে গিয়ে কৈলাস-মুকুলের সঙ্গে আঘধণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছিলেন বিশ্বজিৎবাবু। তবে ফিসফাস বন্ধ হয়নি। তবে কি ফের পদ্ম থেকে তৃণমূলে ফিরছেন বনগাঁর বিধায়ক? শুরু হয় তুমুল কানাঘুষো।
জল্পনা তুঙ্গে ওঠে যখন এই ঘটনাপ্রবাহের পরেই অমিত শাহের সভার নিমন্ত্রিতের তালিকা থেকে বাদ পড়ে বিশ্বজিৎ দাসের নাম। প্রশ্ন ওঠে, তবে কি এবার সত্যিই উলটপুরাণ? তবে সেই প্রশ্নে দাঁড়ি পড়ে বুধবার রাতেই। বিশ্বজিৎবাবুর কাছে পৌঁছে যায় সভার আমন্ত্রণ। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সে কথা জানিয়েও দেন শান্তনু ঠাকুর।
আরও পড়ুন: বিজেপি বিধায়ক প্রণাম ঠুকতেই মমতা বললেন, ‘কী রে কিছু ভাবলি, আর তো সময় নেই’
এত কিছুর পরেও বৃহস্পতিবার শাহি সভাস্থলে ঢোকার মুখে বাধা পেতে হয় বনগাঁ উত্তরের বিধায়ককে। প্রায় ২০-২৫ মিনিট সভাস্থলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন বিশ্বজিত্ দাস। পরে অবশ্য শুভেন্দু অধিকারীর তৎপরতায় সমস্ত জট কাটে। সূত্রের খবর, শুভেন্দু নিজে শান্তনু ঠাকুরকে এ নিয়ে ফোন করেন। তার পরেই শুভেন্দুর সঙ্গে সভাস্থলে ঢোকেন বিশ্বজিৎ।
আরও পড়ুন: মমতাও ‘জয় শ্রীরাম’ বলেন! কখন? জানালেন সুব্রত