বিজেপি বিধায়ক প্রণাম ঠুকতেই মমতা বললেন, ‘কী রে কিছু ভাবলি, আর তো সময় নেই’
বিশ্বজিৎ দাস, সুনীল সিং দু'জনই তৃণমূলের টিকিটে বিধানসভা ভোটে জিতেছিলেন।

সোমবার ছিল বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন। প্রথা মেনে গ্রুপ ফটোসেশন সেরে লবি ধরে এগোচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হঠাৎই লবিতে দেখা যায় বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও সুনীল সিংকে। প্রাক্তন দলনেত্রীকে দেখে হাত জোড় করে প্রণাম জানান সুনীল। তবে বিশ্বজিৎ সটান পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন মমতাকে। এরপর বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেও যান তাঁরা। ছিলেন হাবড়া বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকও। প্রায় ২০ মিনিট কথা হয় তাঁদের।
বিশ্বজিৎ, সুনীল দু’জনই তৃণমূলের টিকিটে বিধানসভা ভোটে জিতেছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের পর রাজ্যে যখন গেরুয়া ঝড় শুরু হয়, তাঁরা সে শিবিরে যোগ দেন। সুনীল সিং ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের আত্মীয়। তাঁর হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে জল্পনা শোনা যাচ্ছিল তৃণমূলে ফিরতে পারেন সুনীল। বিশ্বজিৎ বিজেপিতে যোগ দিলেও সেভাবে নতুন দলে গিয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। এরইমধ্যে এদিন মমতার সঙ্গে এই সৌজন্যের ছবি ধরা পড়ে বিধানসভায়।
আরও পড়ুন: রাজ্য কৃষক বিরোধী নয়, পরিসংখ্যান তুলে বিধানসভায় বোঝালেন মমতা
মমতাকে প্রণাম করতেই পাল্টা তিনি বনগাঁ উত্তরের বিধায়ককে প্রশ্ন করেন, “কী রে কিছু সিদ্ধান্ত নিলি। আর তো সময় নেই।” মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই প্রশ্ন শুনে চুপচাপই দাঁড়িয়ে ছিলেন বিধায়ক। যদিও বিজেপির এই দুই বিধায়কের দাবি, উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতেই এদিন বিধানসভায় মমতার ঘরে যাওয়া। বরাদ্দ কিছু অর্থ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা ছিল।
তবে রাজনৈতিক মহল এত সহজে এ তত্ত্ব মানতে নারাজ। তাদের কথায়, দু’দিন পর যেখানে ভোট ঘোষণা। সেখানে এখন আবার উন্নয়নের টাকা দিয়ে কতদূর কী করবেন বিধায়করা। আদৌ এ সাক্ষাৎ উন্নয়নের স্বার্থে, নাকি ‘ঘর ওয়াপসি’র পূর্বাভাস তা সময়ই বলবে।
