ধোনির নীরব ছোঁয়াতেই ঝাড়খণ্ডের অভূতপূর্ব সাফল্য, ফাঁস করলেন নাদিম!
ভারতীয় দলের হয়ে খেলার সময় থেকেই ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে নিবিড় ভাবে জড়িত ধোনি। অবসর নিলেও সেই ভূমিকা বদলায়নি। ধোনির পরামর্শে ঝাড়খণ্ড ক্রিকেটে আনা হয় অনেক পরিবর্তন। ঝাড়খণ্ডের দলে প্রধান কোচ করা হয় রতন কুমারকে।

কলকাতা: ঈশান কিষানের নেতৃত্বে প্রথমবার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি (SMAT), জিতেছে ঝাড়খণ্ড। এই জয়ের আড়ালে নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। এমনটাই প্রকাশ্যে এনেছেন প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার শাহবাজ নাদিম। বর্তমানে ঝাড়খণ্ড রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক নাদিম। এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, নিজের রাজ্য দলের জন্য নীরবে খেটেছেন মাহি। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে প্লেয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ, সবই করেছেন এমএসডি।
নাদিম ক্রিকইনফো-কে বলেছেন, “মরসুমের শুরু থেকেই কোচিং স্টাফ নিয়োগ সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আমরা ধোনির পরামর্শ পেয়েছি। পুরো টুর্নামেন্ট গভীরভাবে অনুসরণ করেছেন। প্রতিটি খেলোয়াড়ের শক্তি ও দুর্বলতা নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।” ঝাড়খণ্ড ক্রিকেটের ইতিহাসে ২০২৫ সাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সিনিয়র পর্যায়ে এই প্রথম কোনও বড় টুর্নামেন্টে জয় এসেছে। ধোনি যে এই জয়ের শরিক, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ভারতীয় দলের হয়ে খেলার সময় থেকেই ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে নিবিড় ভাবে জড়িত ধোনি। অবসর নিলেও সেই ভূমিকা বদলায়নি। ধোনির পরামর্শে ঝাড়খণ্ড ক্রিকেটে আনা হয় অনেক পরিবর্তন। ঝাড়খণ্ডের দলে প্রধান কোচ করা হয় রতন কুমারকে। সানি গুপ্তা হন বোলিং কোচ। নাদিম বলেছেন, “ধোনি ঝাড়খণ্ডের প্রতিটি ক্রিকেটারের পরিসংখ্যান জানেন। তিনি সত্যিই চান এই রাজ্যের ক্রিকেট আরও উন্নতি করুক।” ধোনি শেষবার ঝাড়খণ্ডের হয়ে খেলেছিলেন ২০১৫ সালে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরও তিনি নিজের রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি। প্রধান কোচ রতন কুমার বলেছেন, “আমরা ভেবেছিলাম, প্রথম বছরটা দল গড়তেই চলে যাবে। তা হয়নি।”
এত দ্রুত সাফল্য় আসবে তা সাফল্য মিলবে, তা দলের কেউই ভাবেননি। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের খেলোয়াররা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক অন্য় মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন। ধোনির পরামর্শেই বাইরের নামী কোচের পরিবর্তে স্থানীয় ও অভিজ্ঞ কোচদের উপর ভরসা রাখা হয়। নাদিম ও সৌরভ তিওয়ারির নেতৃত্বে কোচদের জন্য পারফরম্যান্স ভিত্তিক ইনসেনটিভ চালু করা হয়। সব মিলিয়ে, ঝাড়খণ্ডের এই সাফল্যের পেছনে ছিল মাঠের বাইরে এক কিংবদন্তির নীরব কিন্তু গভীর প্রভাব।
