Election Commission: হানিমুনের টিকিট কাটা…হিয়ারিং শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে কমিশনে এসে জানালেন মাইক্রো অবজারভার
Election Commission: সুদূর ঝাড়গ্রাম থেকে এসেছেন সুব্রত কুমার পাল। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের কর্মী সুব্রতর ব্রেন স্ট্রোকের পর জিভের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে কথা বলতে সমস্যা তাঁর। চোখেও দেখতে পান না। মাইক্রো অবসার্ভার হিসাবে তাঁকেও ইসলামপুরের চোপড়ায় দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

কলকাতা: রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে শুনানি। ভোটারদের কাছে যাচ্ছে বিএলও-দের ফোন! কিন্তু শুনানির আগেই ডিউটিতে না! কেন্দ্রীয় সরকারি চাকুরে মাইক্রো অবসারভাররা শুক্রবার কমিশনের অফিসে ভিড় জমিয়েছেন। কারো নিজের বিয়ে, কারও মেয়ের বিয়ে, কেউ অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মাইক্রো অবসার্ভারের ডিউটি করতে চাইছেন না। গতকাল বড়দিনের জেরে অফিস বন্ধ থাকায় আজ শেষ লগ্নে ভিড় কমিশনের অফিসে।
সুদূর ঝাড়গ্রাম থেকে এসেছেন সুব্রত কুমার পাল। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের কর্মী সুব্রতর ব্রেন স্ট্রোকের পর জিভের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে কথা বলতে সমস্যা তাঁর। চোখেও দেখতে পান না। মাইক্রো অবসার্ভার হিসাবে তাঁকেও ইসলামপুরের চোপড়ায় দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। স্ত্রীর হাত ধরে আসেন তিনি। আর্জি এই ডিউটি কীভাবে করবেন তিনি?
অন্যদিকে কলকাতার বাসিন্দা অমর্ত্য বসুর বিয়ে জানুয়ারি মাসে। বিয়ে ও মধুচন্দ্রিমার জন্য আগে থেকেই ছুটি নেওয়া তাঁর। সেক্ষেত্রে মাইক্রো অবসার্ভার হিসেবে কীভাবে কাজ করবেন তিনি, প্রশ্ন তুলে বিয়ের কার্ড সহ আবেদন করেছেন তিনি। এদিন CEO দফতরে মেয়ের বিয়ে, হার্টের অসুস্থতা, দূরে ডিউটি করতে চান না এমন বহু আবেদন নিয়ে মাইক্রো অবসার্ভাররা আসেন।
কমিশন সূত্রে খবর, কিছু সমস্যা গুরুতর হয়। সেক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। যথেষ্ট সংখ্যায় মাইক্রো অবসার্ভার রয়েছে তাদের হাতে। কিন্তু অজুহাত বুঝলে তাঁকে শোকজ করতে দ্বিধা করবে না কমিশন।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রুপ বি বা তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মী মূলত কেন্দ্রীয় অধীনস্থ পাবলিক সেক্টর, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের কর্মীদেরৃ এই মাইক্রো রোল অবজার্ভার নিয়োগ করা হয়েছে।
