ফাটল মাথা, কাটল গাল; ভোটের আগের দিন ফের উত্তপ্ত শীতলকুচি
ভোটের আগেরদিন এমন হিংসায় প্রশ্ন উঠেছে, আধা সেনা মোতায়েন (Para Military Force) নিয়েও।
কোচবিহার: ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত শীতলকুচি (Shitalkuchi)। অভিযোগ, বিজেপি ও তৃণমূলের এলাকা দখলের লড়াইকে ঘিরেই শুক্রবার উত্তেজনা ছড়ায় শীতলকুচি বিধানসভার উত্তর নলগ্রামে। ঘটনায় আহত হন দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন।
গত বুধবারই এই শীতলকুচিতে নির্বাচনী সভা করতে এসে আক্রান্ত হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভোটের আগের দিন আবারও উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। অভিযোগ, এদিন দুপুরে নলগ্রামে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বচসা বাধে। মুহূর্তে তা হাতাহাতি, মারামারির চেহারা নেয়। দু’পক্ষেরই একাধিক মহিলা যেমন জখম হয়েছেন। তেমনই আক্রান্ত দুই দলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকও। সকলেই স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি।
স্থানীয় তৃণমূল কর্মী আবু তালেব মিয়া হাসপাতালে শুয়েই বলেন, “আমরা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। সে সময় অতর্কিতে বিজেপির লোকজন আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমি, সফিকুল মিয়া, সুবল বর্মন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই।” অভিযোগ, এরপরই নাকি তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির উপর পাল্টা আক্রমণ করে। এতে বিজেপির চারজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
আহত বিজেপি কর্মী অধীর রায়ের মেয়ের অভিযোগ, “তৃণমূল কর্মীরা আমাদের উপর আক্রমণ করেছে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে বাবা, অমিতা বর্মন, ভারতী বর্মন, বাপি বর্মনকে আক্রমণ করে। গুরুতরভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন সকলেই।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শীতলকুচি থানার পুলিশ।
শনিবার কোচবিহার জেলার ৯ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। তার আগের দিন এমন হিংসায় প্রশ্ন উঠেছে, আধা সেনা মোতায়েন নিয়েও। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কোচবিহার জেলায় পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী ও আধা সেনা বাহিনী এসে পৌঁছলেও তাদের মোতায়েনে বেশ কিছু ক্রুটি রয়েছে। অর্থাৎ জেলার সমস্ত ব্লকে সমপরিমাণ বাহিনী মোতায়েন হয়নি বলেই অভিযোগ। যদিও এ নিয়ে কমিশনের জেলার কোনও আধিকারিকের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।