Siliguri Municipality: ভোটের মুখে ‘কল টু চেয়ারম্যান’! তৃণমূলকে বিঁধছে বিরোধীরা
Siliguri: কিন্তু ঠিক ভোটের মুখে এহেন উদ্যোগ কেন? গৌতম দেবের জবাব, "এর কৈফিয়ত তিনি সংবাদমাধ্যমকে দেব না। বহু মানুষ সরাসরি কথা বলতে চান। বহু মানুষ যোগাযোগ করতে চেয়েও আমার সঙ্গে কথা বলতে পারেন না। তাঁদের কাছে পৌছতেই এই উদ্যোগ।''
শিলিগুড়ি: আগামী ফেব্রুয়ারি- মার্চ মাসেই শিলিগুড়িতেও পুরভোট (Siliguri Municipality) হওয়ার সম্ভাবনা। প্রশাসনিক বৈঠক থেকেও এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে এই মুহূর্তে নির্বাচিত বোর্ড না থাকায় রাজ্যের সরকার মনোনীত শাসক দলের নেতারা প্রশাসক বোর্ড চালাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে পৌর পরিষেবা নিয়ে মানুষের নানা ক্ষোভ প্রশমনে এবার সরাসরি প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেবকে ফোন করেই নাগরিক পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ জানানোর বন্দোবস্তের ঘোষণা করল তৃণমূল (TMC)। আর এ নিয়ে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। শাসক শিবিরকে বিঁধতে ছাড়ল না সিপিএম ও বিজেপি।
এদিন শিলিগুড়ি পুরসভা বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব জানান, নতুন উদ্যোগ শুরুর কথা। যার নাম ‘কল টু চেয়ারম্যান’। এর আগে এমন উদ্যোগ অবশ্য কলকাতা পুরসভায় দেখা গিয়েছে। কিছুদিন আগে হাওড়াতেও শুরু হয়েছে। এদিকে গৌতম দেব জানান, প্রতি শনিবার সকালে সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে এগারোটা একটি টোল ফ্রি নাম্বারে এই ফোন করলে তাঁকে পাওয়া যাবে। সরাসরি তাঁকে সমস্যা, অভাব-অভিযোগের কথা বলতে পারবেন নাগরিকরা। তাঁর কথায়, “আমার সঙ্গে পৌরসভার সমস্ত আধিকারিকেরাও সেই সময়ে হাজির থাকবেন। ফোন কলে আসা অভিযোগের চটজলদি সমাধান মিলবে।”
কিন্তু ঠিক ভোটের মুখে এহেন উদ্যোগ কেন? গৌতম দেবের জবাব, “এর কৈফিয়ত তিনি সংবাদমাধ্যমকে দেব না। বহু মানুষ সরাসরি কথা বলতে চান। বহু মানুষ যোগাযোগ করতে চেয়েও আমার সঙ্গে কথা বলতে পারেন না। তাঁদের কাছে পৌছতেই এই উদ্যোগ।” তাই ১৮০০৩৪৫৩৩৫০ এই নম্বরে বিনামূল্যে ফোন কল করে অভিযোগ জানানো যাবে।
যদিও এ নিয়ে বিঁধতে ছাড়েনি বিরোধীরা। সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, হেরে যাওয়া নেতারা গায়ের জোরে প্রশাসক পদে বসে আছেন। তিনি বলেন,”উনি কি চেয়ারম্যান নাকি? আগে জিতে আসুন। রোজ মানুষকে পরিষেবা পেতে নাকাল হতে হচ্ছে। এখন ভোটের আগে লোক দেখানো প্রকল্প করা হচ্ছে!” এর আগেও একাধিকবার শিলিগুড়ি পুরসভার পরিষেবা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এদিন ফের তৃণমূলকে কটাক্ষ ছোড়েন তিনি।
অন্যদিকে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, “নির্বাচন হলেই এই চেয়ারম্যান পালটে যাবে। ভোটের মুখে লোকের ক্ষোভ বুঝেই এসব চালাকি করার চেষ্টা হচ্ছে। নানা সার্টিফিকেট পেতে, পরিষেবা পেতে হয়রানি হচ্ছে। আর গায়ের জোরে ভোট না করিয়ে ওই হেরে যাওয়া নেতারা প্রশাসক পদে বসে নীলবাতির গাড়ি নিয়ে ঘুরছেন!” সব মিলিয়ে ভোটের আগে গৌতম দেবের এই উদ্যোগ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চাপানউতোর।