Drinking Water: কল খুললেই বেরিয়ে আসছে ঘোলা জল, কলকাতার পর ‘জলাতঙ্ক’ হুগলিতেও
Shrirampur: ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি, গঙ্গার জলে মিশেছে পলি-মাটি। সেই জল পরিশোধন করা না যাওয়াতেই এই বিপত্তি।
শ্রীরামপুর: গতকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় জলের কল থেকে বেরিয়ে আসছে ঘোলা জল। কলকাতার পর হুগলির (Hooghly) শ্রীরামপুরেও (Shrirampur) দেখা গেল একই ছবি। কার্যত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শ্রীরামপুরের বাসিন্দাদের মধ্যে। রাতারাতি জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয় শ্রীরামপুর পুরসভার তরফে। কেউ যাতে ওই জল পানীয় হিসেবে না গ্রহণ করেন, সেই সতর্কবার্তাও জারি করা হয়েছে।
রবিবার এলাকার বাসিন্দারা অনেকেই দেখেন কল থেকে আচমকা ঘোলা জল বেরোতে শুরু করেছে কল থেকে। আতঙ্কিত বাসিন্দারা খোঁজখবর নিতে শুরু করলে জানতে পারেন, অনেকেই একই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। পুরসভার তরফ থেকে যে জল সরবরাহ করা হয়, সেই জল ঘোলা হয়ে বেরচ্ছে। মূলত গঙ্গা তীরবর্তী এলাকাগুলোতেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপর রবিবার রাতেই মাইক নিয়ে প্রচার করা হয় পুরসভার তরফে। বাসিন্দারা যাতে ওই ঘোলা জল পান না করেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। পাশাপাশি, এও জানানো হয়, কী সমস্যা তা খতিয়ে দেখে জল পরিশোধনের কাজ চলছে।
শ্রীরামপুর থেকে যে সব পুর এলাকায় জল সরবরাহ হয়, সে সব পুরসভা এলাকায় সব জায়গায় জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাতেই। উত্তরপাড়ায় মাইক নিয়ে প্রচার করে নাগরিকদের ঘোলা জল পান নিষেধ করা হয়। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভা এলাকাতেও ঘোলা জল বেরতে দেখা যায়। সিএমডব্লিউএস-এর ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, গঙ্গার জল বেশি মাত্রায় ঘোলা হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। পাম্প গুলোতে সেই জল তুলে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে শোধন করতে না পারাতেই ঘোলা জল সরবরাহ হচ্ছে।
পুর প্রশাসকরা জানিয়েছেন বন্যার জলই এর অন্যতম কারণ। ডিভিসির ছাড়া জলে গঙ্গার জল, পলি মাটি মিশে অতিরিক্ত ঘোলা হয়ে যায়, যা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে পরিশোধন করা যায়নি। তার ফলে জল ঘোলা হয়ে বেরোতে থাকে। মানুষের সমস্যার কথা ভেবে পুরসভাগুলো নিজস্ব পাম্প চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া চেষ্টা করা হচ্ছে।
শুধু হুগলি নয়, খাস কলকাতাতেও দেখা গিয়েছে একই ছবি। উল্টোডাঙার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রবিবার কল খুলতেই নজরে আসে একেবারে সাবান ধোয়া জলের মতো ঘোলা জল। বিকেলের দিকে তা কিছুটা বদলালেও পুরোপুরি স্বচ্ছ নয়। বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণেই এমন ঘটনা বলে দাবি করেছেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, ‘এই বাঁধগুলো থেকে জল ছাড়ার কারণে জলের মান একেবারে খারাপ হয়ে গিয়েছে। খুব কাদা, ঘোলা জল আসছে। নদী থেকে যে পরিমাণ জল আমরা তুলি তা তুলতে পারছি না। সে কারণে জল আমরা দু’ চারদিন কমিয়ে দিচ্ছি, যতদিন না এই পরিস্থিতি ঠিক হয়। এরকম এর আগে কোনওদিনও হয়নি। এই জলের জন্য কেএমডিএর-ও কয়েকটা প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে রয়েছে। এত কাদা। কতগুলো জায়গায় খুব অল্প জল, একেবারে উপরিভাগ থেকে নিচ্ছি।’ ক’দিন কলকাতায় জলের প্রেশার কম থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।