DVC: জলের নীচে হাজার হাজার হেক্টর ধান জমি! পেটে টানের আশঙ্কায় সহস্র কৃষক
DVC: কৃষি দফতর সূত্রে খবর, আমতা ২ নং ব্লকে মোট কৃষি জমির পরিমাণ ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর। স্থানীয়দের দাবি, এই গোটা কৃষি জমির মধ্য়ে ৭ হাজার ২৯০ হেক্টর জমি আপাতত জলের তলায়।

আমতা: যতটা চোখ যায়, ততটা এলাকাই জলে ঢাকা। একদিকে ডিভিসির জল, অন্যদিকে অতিবৃষ্টি। সব মিলিয়ে আমতা এখন ‘জলাজীর্ণ’। আর সবচেয়ে বেশি প্রভাব কাদের উপরে পড়েছে? কৃষকদের। কারণ, মাঠে-ঘাটে লড়াইটা তাদেরই। ইতিমধ্য়ে এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন জেলাশাসক ও কৃষি দফতরের আধিকারিকরা।
আমতার ২ নং ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, বিশেষ করে খালনা, জয়পুর, আমড়াগড়ি ও ঝিকিরা-সহ বিভিন্ন এলাকা ঢেকেছে জলে। এই চার এলাকার বেশির ভাগ অংশ কৃষি জমি। যার জেরে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। কৃষি দফতর সূত্রে খবর, আমতা ২ নং ব্লকে মোট কৃষি জমির পরিমাণ ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর। স্থানীয়দের দাবি, এই গোটা কৃষি জমির মধ্য়ে ৭ হাজার ২৯০ হেক্টর জমি আপাতত জলের তলায়।
দিনকতক ধরে চলা টানা বৃষ্টির। আর তার সঙ্গে নাকি দোসর হয়েছে দামোদর ভ্য়ালি কর্পোরেশন। কয়েক দফায় দফায় জল ছাড়ার জেরে চাপে পড়েছে আমতার কৃষকরা। এদিন এলাকার বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, “বিগত বছরের থেকে ৭০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে ডিভিসি যার কিনা দিনে ৪ থেকে ৫ হাজার কিউসেক জল। তাদের জল ছাড়ার পরিমাণ গত দু’মাসে দাঁড়িয়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার কিউসেক। জল বাড়ায় গ্রামের সুইলিস গেট গুলি খোলা যাচ্ছে না, ফলে চাষের জমি থেকে কোনও ভাবে জল নামানো সম্ভব হচ্ছে না।”
এই জল জমা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসনিক মহলও। কারণ, ওই ৭ হাজার হেক্টর জমিতেই চাষ হয় ধান-সহ বহু সবজিপাতি। এই জমির উপর ভিত্তি করেই পেট চলে হাজার হাজার কৃষকদের। এই পরিস্থিতি গোটা এই ভাবে জলমগ্ন থাকলে ক্ষতি হবে ফসলের। স্থানীয় এক কৃষক বলেন, “ক্ষতি হচ্ছে, চারটে জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু করব কী? ক্ষতিপূরণ কি কেউ দেবে?”
কৃষকরা আশাহত হলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেই আশ্বাস বিধায়কের। তিনি জানিয়েছেন, সেচ দপ্তরের উদ্যোগে পাম্প মেশিন বসিয়ে জল নামানো হবে। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের শস্যবিমা দিয়ে সাহায্য় করা হবে।

