Crime: সকাল থেকে বন্ধ ঘর, দরজা ভাঙতেই ঘরের মধ্যে চাপচাপ রক্ত, মিলল মা-ছেলের নিথর দেহ!

Crime: বছর দেড়েক আগে বিয়েও করেন অভিষেক। কিন্তু, ব্য়বসায় মন্দা চলায় অভিষেকের বাজারে বেশ কিছু ধারদেনা হয়েছিল বলেই জানিয়েছে মৃতের পরিবার।

Crime: সকাল থেকে বন্ধ ঘর, দরজা ভাঙতেই ঘরের মধ্যে চাপচাপ রক্ত, মিলল মা-ছেলের নিথর দেহ!
মৃত মা ও ছেলে, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2021 | 4:45 PM

হাওড়া: সকাল থেকেই বাড়ির দরজা খোলেননি মা-ছেলে। তখনও এলাকাবাসী বুঝতে পারেননি ঠিক কী হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত একইভাবে দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হতে শুরু করে স্থানীয়দের। সকলে খবর দেন হাওড়া থানায়। পুলিশ এসে দরজা খুলতেই আঁতকে ওঠেন এলাকাবাসী। ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে মা-ছেলের রক্তাক্ত মৃতদেহ (Dead Body)। ঠিক কীভাবে এই মৃত্যু হল তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হাওড়ার পঞ্চাননতলার বাসিন্দা কৃষ্ণা হাইত ও  অভিষেক হাইত ভৈরব লেনে দুজনেই থাকতেন। কৃষ্ণার স্বামী অর্থাত্‍ অভিষেকের বাবা আগেই গত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মা-ছেলেকে দেখতে পাননি আশেপাশের কেউ। দুপুরবেলা অনেকক্ষণ দেখতে না পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে কৃষ্ণা ও অভিষেকের দেহ দুটি (Dead Body)  উদ্ধার করে। দেখা যায়, ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন দুজন। কৃষ্ণা ও অভিষেকের দুজনেরই বাঁ-হাতের শিরা কাটা। সেখান থেকে চুঁইয়ে পড়েছে রক্ত। লাল দগদগে রক্তে ভেসে গিয়েছে সারা ঘর। পাশে পড়ে রয়েছে দুটি খালি ফিনাইলের বোতল। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, দুজনেই আত্মহত্যা করেছেন।

এলাকার অত্যন্ত বর্ধিষ্ণু পরিবার বলে পরিচিত হাইত পরিবারের ছেলে অভিষেকের বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবসা রয়েছে। একান্নবর্তী পরিবারে কাকা-জ্যাঠাদের সঙ্গেই দোতলা বাড়িতে থাকতেন অভিষেক ও তাঁর মা। বছর দেড়েক আগে বিয়েও করেন অভিষেক। কিন্তু, ব্য়বসায় মন্দা চলায় অভিষেকের বাজারে বেশ কিছু ধারদেনা হয়েছিল বলেই জানিয়েছে মৃতের পরিবার। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকে অর্থ সাহায্য নেওয়া ছাড়াও স্ত্রী দেবীকার গয়না  বন্ধক রেখে টাকাও নিয়েছিলেন অভিষেক। সেই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলাও হত । কিছুদিন আগে ঝামেলা চরমে উঠলে দেবীকা বাড়ি ছেড়ে চলে যান বলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ।

মৃত অভিষেকের বৌদি সোমা হাইত বলেন, “ধার করা টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে প্রায়ই অভিষেকের শ্বশুরবাড়ি থেকে চাপ আসছিল। এই নিয়ে খুব অশান্তিও হয়। ওঁকে নানারকম হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল। সেকারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।” অন্য়দিকে, এদিন ঘটনার খবর পেয়ে ভৈরব লেনের বাড়িতে ছুটে আসেন মৃত যুবকের মামাশ্বশুর দেবাশিস মণ্ডল। তিনি বলেন, “একথা ঠিক নয় যে টাকা পয়সা ও সোনার গয়না নিয়ে কখনও অভিষেককে চাপ দেওয়া হয়েছে। ওঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সবসময়েই টাকা দিয়ে সাহায্য় করেছে।”

হাওড়া সিটি পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের পর তদন্তকারীদের অনুমান, মায়ের কব্জি কেটে খুন করে ছেলেও একই পদ্ধতিতে আত্মহত্যা করেছে। দেহ দুটি (Dead Body) ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে, এক বাড়িতে যৌথ পরিবারে থাকার পরেও কীভাবে বাড়ির অন্য সদস্যরা এই বিষয়ে কোনও কিছুই বুঝতে পারলেন না, তা নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, পরিবারের সকলের সঙ্গে অভিষেক ও তাঁর মায়ের কীরকম সম্পর্ক ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কীভাবে কুকুরের বেল্ট দিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন বিপ্লব? ঘটনার পুনর্নিমাণে ধৃতের ফ্ল্যাটেই গোয়েন্দারা

আরও পড়ুন: কীভাবে কুকুরের বেল্ট দিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন বিপ্লব? ঘটনার পুনর্নিমাণে ধৃতের ফ্ল্যাটেই গোয়েন্দারা