লকডাউন ভেঙে নদীর পাড়ে মদের আসর, ধৃত ৪
নির্জন নদীর পাড়, তার পাশে রয়েছে বাঁশবাগান। সেখানেই নিশ্চিন্তে মদের আসর বসিয়েছিল কয়েকজন যুবক। পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার হয় তারা।
জলপাইগুড়ি: করোনা (Corona) সংক্রমণ ঢেকাতে রাজ্যজুড়ে চলছে কার্যত লকডাউন। সেই লকডাউন ভেঙে মদের আসর বসানোয় গ্রেফতার হল ৪ যুবক। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি এলাকায়।
নির্জন নদীর পাড়, তার পাশে রয়েছে বাঁশবাগান। সেখানেই নিশ্চিন্তে মদের আসর বসিয়েছিল কয়েকজন যুবক। এদিকে সন্ধ্যা নামতেই এদিন সাদা পোশাকে পুলিশের অভিযান শুরু হয় গোটা শহরে। বাইক নিয়ে বিভিন্ন পাড়ার অলিগলি থেকে শুরু করে নির্জন এলাকায় অভিযান চালান ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। আর তাতেই ধরা পড়ে চার যুবক।
এবার বড় গাড়ি নিয়ে আর অভিযান চালাচ্ছে না পুলিশ। কারণ, জীপ নিয়ে অভিযান চালাতে গেলে গাড়ির শব্দ শুনে আগেভাগে পালিয়ে যাচ্ছে লকডাউন ভঙ্গকারীরা। তাই লকডাউন কেমন মানা চলছে তা খতিয়ে দেখতে মোটর বাইক নিয়ে সাধারণ পোশাকে বেরিয়ে পড়েন কয়েকজন অফিসার। ধূপগুড়ির নির্জন এলাকা, নদীর বাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে সুপার মার্কেট, সর্বত্র ঘুরে বেড়ান কয়েকজন অফিসার।
লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই অভিযোগ আসছিল লকডাউন ভেঙে কিছু যুবক ধূপগুড়ি সুপার মার্কেটে অন্ধকারের মধ্যে মদের আসর বসাচ্ছে। কেউ আবার সোজা চলে যাচ্ছে নদীর পাড়ে। আবার কোথাও অযথা আড্ডা দিতে জড়ো হচ্ছে বহু মানুষ। পুলিশ প্রশাসনের তরফে বারবার মানুষকে সতর্ক করা হলেও একশ্রেণীর মানুষ এভাবেই লকডাউনের বিধি নিষেধ অমান্য করছে। আর তার প্রমাণ পাওয়া গেল শুক্রবার রাতে সাদা পোশাকের পুলিশের বিশেষ অভিযানে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফুটবল ময়দান, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ ধূপগুড়ি ইনস্পেকশন বাংলোতে বহিরাগত কয়েকজন গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা দেয়। মদের আসরও বসে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রশাসনের তরফে সাদা পোশাকে বিভিন্ন পাড়ার অলিগলি নির্জন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনও ইনস্পেকশন বাংলোর প্রবেশদ্বার সরকারী সময়ের পর বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ধুপগুড়ি ইনস্পেকশন বাংলোর প্রবেশদ্বার ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। চলে গভীর রাতে মানুষের যাতায়াত, রাতে বাইরে থেকে বহিরাগতরা প্রবেশ করে সেখানে মদের আসর বসান বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।
তবে এ দিনের অভিযানে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করায় কিছুটা হলেও লকডাউন ভঙ্গকারীরা সতর্ক হবে বলে অনুমান পুলিশের।
ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং বলেন, পুলিশ প্রতিদিন সন্ধ্যার পর এই ভাবে অভিযান চালিয়ে যাবে। একটা বড় অংশের মানুষ লকডাউনের নির্দেশ মানছেন। তবে কয়েকজন পাড়ার মোড়ে, নির্জন এলাকায়, পরিত্যক্ত ঘরে আড্ডা, মদের আসর বসানোর মত ঘটনাগুলি ঘটিয়ে চলছে। তাদের বিরুদ্ধে এবার পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে কাউকে যেন রেয়াদ করা না হয়। আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।