ধূপগুড়ি: জলপাইগুড়িতে শনিবারই ঢুকেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সাধারণ ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে রুট মার্চও করছেন তাঁরা। একদিকে, যখন গ্রামবাসীদের অভয় বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন আধা সেনারা। সেই সময় আবার ব্যাঙ্কে ঢুকে ম্যানেজারকে ডাম্পার দিয়ে পিষে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ধূপগুড়িতে।
শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ঝার আলতা এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাউকিমারি বাজারে। এই বাজারে ভান্ডানি জলঢাকা রোডে উত্তরবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শাখায় আচমকা উপস্থিত হন এক তৃণমূল নেতা (ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তাঁর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)। ম্যানেজারের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে ছিলেন জনা দশেক কর্মী। তাঁদের দাবি ঋণ খেলাপিদের ব্যাঙ্ক একাউন্ট ব্লক করে রাখা কেন? তাঁদের টাকা তোলার সুবিধা করে দিতে হবে। অ্যাকাউন্ট ব্লক করা চলবে না। এই দাবির পাশাপাশি চলতে থাকে অশ্রাব্য কটুক্তি।
ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অভিরূপ নস্কর বোঝানোর চেষ্টা করেন। এটি ব্যাঙ্কের পদ্ধতি গত বিষয়। এখানে ম্যানেজারের করনীয় কিছু নেই। তৃণমূল কর্মীরা উত্তেজিতভাবে কটুকথা বলতে থাকেন। অভিযোগ, একজন সরাসরি হুমকি দিয়ে বলেন, “আমাদের কথা না শুনলে বাড়ি ফেরার পথে ডাম্পার চাপা দিয়ে মেরে ফেলব।” আরও বলেন, “এখন ভোটের সময় রাজনৈতিক ইস্যু করে দেব। এই ব্যাঙ্ক থাকবে না উড়িয়ে দেব। তাহলে ম্যানেজারের থাকার দরকার হবে না।”
ব্যাঙ্কের ভিতরে এই ধরনের ঘটনায় জোর চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। প্রাণের ভয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার কিছু অ্যাকাউন্টের ব্লক খুলে দিতে বাধ্য হন। ম্যানেজার অভিরূপ নস্কর বলেন,”আমরা ব্যাঙ্কের কর্মীরা তীব্র আতঙ্কে আছি। সমস্ত বিষয় ব্যাঙ্কের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।” তৃণমূলের জেলা সম্পাদক অরূপ দে বলেন, “যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটে। দল ব্যবস্থা নেবে। আইন আইনের পথেই চলবে।”