Malbazar: ফাঁকা বাড়ি দেখে চুরি করতে এসে কেস খেয়ে গেল চোরের দল! কী পরিণতি হল দেখুন
Theft Incident: চিৎকার শুনে ততক্ষণে ছুটে এসেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুই যুবককেই দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। গণধোলাইও দেওয়া হয়। ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। উত্তেজনার মধ্যেই খবর চলে যায় পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মেটেলি থানার পুলিশ।

চালসা: বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে হানা দিয়েছিল চোরের দল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল দুই যুবক। দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হল গাছের সঙ্গে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালবাজারের চালসা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকাল ৩টে নাগাদ আপার চালসা এলাকার বাসিন্দা উর্মিলা সেওয়ারের বাড়িতে হানা দেয় তিন যুবক। আলমারি খুলে রীতিমতো তছনছ শুরু করে। কিন্তু চোরেরা ততক্ষণে ধরতে পারেননি যে উর্মিলা দেবী বাড়িতে চলে আসবেন। বাড়িতে ঢুকতেই চোখের সামনে ধরা পড়ে যায় গোটা ঘটনা। চিৎকার চেঁচামেচির মধ্যে ২ জনকে ধরে ফেলতেও সক্ষম হন। কিন্তু একজন পালিয়ে যায়।
চিৎকার শুনে ততক্ষণে ছুটে এসেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুই যুবককেই দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। গণধোলাইও দেওয়া হয়। ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। উত্তেজনার মধ্যেই খবর চলে যায় পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মেটেলি থানার পুলিশ। দুই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ভরদুপুরে এ ঘটনায় স্বভাবতই এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ধৃত দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তাঁদের সূত্র ধরেই তৃতীয় জনের খোঁজ চালানো হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে স্থানীয় স্তরে। এর পিছনে বড় কোনও চক্র রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় উর্মিলা দেবী বলছেন, “অনেক জামা-কাপড় তৈরি হয়েছে। কিছু নগদ টাকাও চুরি হয়েছে। ওরা মোট তিনজন ছিল। দুজনকে ধরা গিয়েছে, কিন্তু একজন পালিয়ে গিয়েছে। দিনের বেলা যে এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে ভাবতেই পারিনি।”
