ছ’মাস আগে পরিকল্পনা, শীতলকুচিতে বাঙালিকে মারাই ছিল উদ্দেশ্য: অভিষেক
অভিষেকের (Abhishek Banerjee) দাবি, ২৫০ আসন নিয়ে সরকার গড়বে তৃণমূল (TMC)।
মালবাজার: বাঙালিকে মারার জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। শীতলকুচির (Shitalkuchi) ঘটনা নিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
সোমবার মাল ব্লকের ওদলাবাড়িতে এক সভা থেকে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের দাবি, শীতলকুচির ঘটনার পরিকল্পনা করা হয়েছিল ছ’মাস আগে। অভিষেকের কথায়, “ছয় মাস আগেই বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu) তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, ‘সিআরপিএফকে বলেছি বেশি বাড়াবাড়ি করলে বুক লক্ষ্য করে গুলি করুন।’ আর শীতলকুচির ঘটনার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে শিতলকুচির ঘটনা আরও হবে।” এই দুই ঘটনায় ঈঙ্গিত দেয় শীতলকুচির পূর্ব পরিকল্পিত বলে দাবি অভিষেকের।
প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফা ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুকে ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা এই ঘটনার পিছনে দায়ী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাল্টা মমতা আঙুল তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যর্থতার দিকে। এই প্রেক্ষিতে সোমবার মাল ব্লকের ওদলাবাড়িতে তৃণমূল প্রার্থী বুলু চিকবরাইকের সমর্থনে প্রচারে এসে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন যুব তৃণমূলের সভাপতি। শুধু বিজেপিকে আক্রমণ নয়, সায়ন্তন বসু ও দিলীপ ঘোষের অডিয়ো নিজের ভাষন শুরু করেন তিনি। তাঁর সাফ দাবি, শীতলকুচির ঘটনা পরকিকল্পনা করেই ঘটানো হয়েছে।
এদিন ওদলাবাড়ি বিধান পল্লী ফুটবল মাঠে অভিষেক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী, ব্লক সভাপতি তমাল ঘোষ, প্রার্থী বুলু চিকবরাইক, মাল পৌরসভার প্রশাসক স্বপন সাহা, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জিরা।
মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন অভিষেক। বলেন, বিজেপি নেতারা ‘জুমলাবাজ ও বহিরাগত’। গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে বাংলায় আসতে দেখা যায়নি এদের। এখন নির্বাচনের সময় এসে ভাষণ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ‘শীতলকুচিতে গণহত্যা হয়েছে,’ নন্দীগ্রামের ছায়া দেখছেন মমতা
অভিষেকের দাবি, ২৫০ আসন নিয়ে সরকার গড়বে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার প্রতিটি পালন করা হবে। তাঁর কথায়, ‘আমরা যা বলি তাই করি। বিজেপি শুধু ভাষণ দিয়ে যায়।