‘শীতলকুচিতে গণহত্যা হয়েছে,’ নন্দীগ্রামের ছায়া দেখছেন মমতা
"বিজেপি হেরে গিয়েছে বলেই গুলি চালাচ্ছে। গুলি করে মানুষ মারে। গুলির দাম বেশি না ব্যালটের? বুলেটের বদলা চাই ব্যালটে।''
জলপাইগুড়ি: কোচবিহারের শীতলকুচির ৪ জনের মৃত্যুকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পঞ্চম দফার নির্বাচনের আগে রবিবাসরীয় প্রচারে ডুয়ার্সের নাগরাকাটা বিধানসভার চালসার টিয়াবনে জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী। সেখান থেকে শীতলকুচি ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করলেন তিনি। টেনে আনলেন নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ।
২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলি চালানোয় মৃত্যু হয়েছিল ১৪ জনের। আর চতুর্থ দফা ভোটের দিন আধা সামরিরক বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। এই দু’ঘটনাকে মিলিয়ে দিতে চাইলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন গলায় কালো কাপড় পেচিয়ে মঞ্চে উঠে শীতলকুচি কাণ্ডের প্রতিবাদ জানান মমতা। সভামঞ্চে উঠে এদিন প্রথমেই তিনি শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর পর শীতলকুচি ঘটনাকে ‘গণহত্যার সামিল’ বলে মন্তব্য করেন মমতা। সুর চড়ান বিজেপিকে নিয়ে। বলেন, হাসিমুখে খুন করতে পারে এরা। মমতার কথায়, “বিজেপি পুলিশ দিয়ে শীতলকুচিতে গুলি চালিয়েছে। এমন গণহত্যা আগে হয়নি। ধিক্কার অমিত শাহ-মোদীকে। গণতন্ত্র হত্যার নায়ক।”
কমিশনের নির্দেশ মাফিক আগামী ৭২ ঘণ্টা শীতলকুচি যেতে পারবেন না মমতা-সহ রাজনৈতিক নেতারা। এদিন ভিডিয়ো কনফারেন্সে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে সভা থেকে মমতা জানিয়ে দেন যে আগামী ১৪ এপ্রিল তিনি শীতলকুচি যাবেন। তাঁর কথায়, “আমি ১৪ তারিখ যাবই। ভিডিয়ো কনফারেন্সে পরিবারের সাথে কথা বলেছি। ওদের পরিবারকে সব রকম সাহায্য করব।” সেই সঙ্গে হিংসার রাজনীতির জবাব ভোটবাক্সে দিতে আবেদন করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সভা থেকে তাঁর মন্তব্য, ‘নো বুলেট, অনলি ব্যালট। তৃণমূল প্রার্থীদের জেতালে যা চাইবেন দেব।’
নাগরাকাটা সভা শেষে এর পর তৃণমূল নেত্রী হেলিকপ্টার করে চলে যান জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ এলাকার সুদামগঞ্জ, আমবাড়ি এলাকায়। সেখানে জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ডক্টর পিকে বর্মা, রাজগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী খগেশ্বর রায় ও ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধান সভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের সমর্থনে একটি জনসভা করেন।
আরও পড়ুন: আমাকে আটকাতেই কোচবিহারে ৭২ ঘণ্টা প্রবেশ বন্ধ করল কমিশন : মমতা
জলপাইগুড়ি থেকে তাঁর মন্তব্য, “বিজেপি হেরে গিয়েছে বলেই গুলি চালাচ্ছে। গুলি করে মানুষ মারে। গুলির দাম বেশি না ব্যালটের? বুলেটের বদলা চাই ব্যালটে।”