আমাকে আটকাতেই কোচবিহারে ৭২ ঘণ্টা প্রবেশ বন্ধ করল কমিশন : মমতা
মমতার (Mamata Banerjee) দাবি, বিজেপি জোর করে বাংলা দখলে নিতে চাইছে। তবে মানুষ এই হিংসার জবাব, বুলেটের জবাব ব্যালটে দেবেন।
জলপাইগুড়ি: এত বড় গণহত্যা আগে হয়নি। শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুর ঘটনাকে এভাবেই বর্ণনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভোটের নামে কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপির পুলিশ দিয়ে গুলি চালিয়েছে বলেও তোপ দাগেন মমতা। রবিবার নাগরাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রের চালসা টিয়াবন মাঠের সভা থেকে শীতলকুচির ঘটনার জন্য মোদী সরকারকে নিশানা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে প্রাণ হারান ৫ জন। এর মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুলিতে। এই ঘটনা ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। যদিও নির্বাচন কমিশনের দাবি, আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিলেন জওয়ানরা। কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই এই ঘটনা।
রবিবার নাগরাকাটার সভা থেকে মমতা বলেন, “চার আদমি কা মত কর দিয়া। এমন গুলি চালাল যে ইতনা অমানবিক ঘটনা কভি নেহি হুয়া হ্যয়। এত বড় গণহত্যা কোনও দিন হয়নি। ধিক্কার জানাই অমিত শাহকে। ধিক্কার জানাই গণতন্ত্র হত্যার নায়কদের।”
আরও পড়ুন: ৫টি তরতাজা প্রাণ, দুধের শিশুর জন্য মায়ের বুকভাঙা কান্না, শীতলকুচির ঘটনায় জবাব দেবে কে?
একইসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর তোপ, তাঁকে রুখতেই ৭২ ঘণ্টা কোচবিহারে নেতাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে কমিশন। মমতার অভিযোগ, “মেরে কো আজ শীতলকুচি জানা থা। যাহা পে গোলি চালায়া। কাল রাত ইলেকশন কমিশন কাহা নেহি জা পায়েগা। কিউ? জো মর গয়া উসকা পরিবার সে নেহি মিল পায়েগা?” তবে এভাবে তাঁকে রোখা যাবে না বলেও দাবি করেন তিনি। ইতিমধ্যেই দুই পরিবারের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা হয়েছে বলে জানান। মমতা বলেন, ‘১৪ তারিখ যাব’। মমতার দাবি, বিজেপি জোর করে বাংলা দখলে নিতে চাইছে। তবে মানুষ এই হিংসার জবাব, বুলেটের জবাব ব্যালটে দেবেন।