AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: এ রাস্তায় খাটিয়াই অ্যাম্বুল্যান্স! MLA বলছেন, ‘১ কিমি রাস্তা ঢালাই দিতে ৮০ লক্ষ খরচ’

Malda News: অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকার জায়গা নেই। যার জেরে খাটিয়ায় চাপিয়েই সেই বৃদ্ধাকে নিয়ে গেলেন আত্মীয়রা। ভর্তি করা হল হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। শোরগোল পড়েছে নানা মহলে।

Malda: এ রাস্তায় খাটিয়াই অ্যাম্বুল্যান্স! MLA বলছেন, '১ কিমি রাস্তা ঢালাই দিতে ৮০ লক্ষ খরচ'
বিধায়ক গোপাল সাহাImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jul 27, 2025 | 8:08 PM
Share

মালদহ: খাটিয়াই ভরসা। এক সময় যে খাটিয়া ছিল গরিবের ঘরের ‘আরামকেদারা’। এখন সেই খাটিয়ায় পরিণত হয়েছে ‘অ্যাম্বুলেন্সে’। কারণ, বেহাল রাস্তা। ঘটনা মালদহের হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। সেখানে বেহাল রাস্তার কারণে গাড়ি ঢোকার কোনও পথ নেই। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া একটা গুরুতর ব্যাপার। এই পরিস্থিতি ভরসা খাটিয়াই।

শনিবার গ্রামের সত্তর বছরের বৃদ্ধাকে ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়ায় ভর্তি করা হল মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার আগে পর্যন্ত পথটা মোটেই সহজ ছিল না। বিশেষ করে গ্রামের বাইরে পা রাখা। এ যেন বিরাট কঠিন কাজ। বেহাল রাস্তা। অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকার জায়গা নেই। যার জেরে খাটিয়ায় চাপিয়েই সেই বৃদ্ধাকে নিয়ে গেলেন আত্মীয়রা ও বিজেপির জেলা পরিষদের সদস্য তারাশঙ্কর রায়। ভর্তি করা হল হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। শোরগোল পড়েছে নানা মহলে।

এমনকি, হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পাওয়ার পরেও যন্ত্রণা যে কমেছে এমন নয়। পরিবারের অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে বৃদ্ধার জন্য সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছতে হয়েছে গ্রামে। তারপর বাড়ি পর্যন্ত ২ কিলোমিটার বেহাল রাস্তা পেরতে হয়েছে খাটিয়ায়। ইতিমধ্যে গোটা ব্যাপারটা নজরে এসেছে মালদহের জেলা প্রশাসক নীতিন সিংহনিয়ার। তিনি বলেছেন, গোটা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিন তৃণমূল নেতা আশিস কুণ্ডু বলেন, ‘ওখানকার প্রধান বিজেপির। বিধায়ক বিজেপির। রাস্তা কেন হয়নি, সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করবে না?’ যার পাল্টা ওই কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক গোপাল সাহার দাবি, ‘রাস্তার এমন বেহাল অবস্থা হলে মানুষ কীভাবে যাতায়াত করবে? এটাই এগিয়ে বাংলার নজির। বাংলায় কেন্দ্রের প্রকল্প রয়েছে। যার মাধ্যমে গ্রামে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এ রাজ্যে কেন্দ্রের কোনও প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হয় না।’

তাঁর সংযোজন, ‘বিধায়ক তহবিলে কতই বা টাকা পাই? আগে ৬০ লক্ষ টাকা ছিল। এখন ৭০ লক্ষ টাকা হয়েছে। ১ কিলোমিটার কংক্রিট রাস্তা তৈরিতে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। আমরা আওতায় ১০টা গ্রাম পঞ্চায়েত, একটা পৌরসভা রয়েছে। ওই টাকায় কিছু হয় না। কেন্দ্রের প্রকল্প রয়েছে। রাজ্য প্রস্তাব দিলেই কাজ হয়ে যাবে। দায় ওদেরই।’