ঝড় নেই, বৃষ্টি নেই, মধ্যরাতে হঠাৎ নদীর গ্রাসে চলে গেল সব, মাথায় হাত গ্রামবাসীদের
Malda: সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরিঘাটের লঞ্চ চলাচল। ঘটনার খবর পেয়ে মানিকচক থানার পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ভোর রাত থেকেই সাধারণ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে।
মালদা: ভোর রাতে হঠাৎ ভাঙন। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গঙ্গা নদীর ভয়াবহ রূপ দেখলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভেঙে গেল একের পর এক দোকানপাট, ঘর-বাড়ি। ঝড় নেই, বৃষ্টি নেই, হঠাৎ এমন ভাঙনে স্তম্ভিত সাধারণ মানুষ। কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। সাত সকালে মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে তাঁদের। ঘটনার পর থেকে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে মালদহের মানিকচক ঘাট এলাকায়।
সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরিঘাটের লঞ্চ চলাচল। ঘটনার খবর পেয়ে মানিকচক থানার পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ভোর রাত থেকেই সাধারণ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও রকম হতাহতের খবর নেই।
এক বাসিন্দা জানান, রাত ২ টো নাগাদ তিনি বুঝতে পারেন ভাঙন শুরু হয়েছে। দোকানগুলি ধসে গিয়েছে। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৫০-৬০টি দোকান নদীর ধারে বসে গিয়েছে বলে জানান তিনি। বন্যার সময় যে জল ছিল, তার জন্যই হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
উল্লেখ্য রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইঞার মালদহ সফরের দিনেই মালদহের মানিকচকে ভয়াবহ গঙ্গাভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার মানিকচকের ভাঙন পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর সেচমন্ত্রী মালদহ ছাড়তেই ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙনের ঘটনা ঘটে মানিকচক গঙ্গাঘাটে।