Awas Yojana: এবার আর ছাড়াছাড়ি নেই! সরকারি ঘর না পেয়ে তৃণমূলের লোকজনের নামে মমতাকে নালিশ করলেন ‘ব্রাত্যরা’
Malda: উপভোক্তাদের অভিযোগ, গত বছর সমীক্ষা করার সময় তাঁদের বাড়ি বাড়ি ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘুরে গেছিলেন এবং তাদের নামও নথিভুক্ত হয়েছিল যোগ্য হিসাবে। কিন্তু এই আবাসের তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় এলাকার অর্থশালী,চাকরিজীবী থেকে ব্যবসায়ী, সিভিক ভলান্টিয়ার এবং শাসকদল ঘনিষ্ঠদের নাম তালিকায় চলে এসেছে।
মালদা: বাংলা আবাসে (Awas Yojona) ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। এবার সেই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন তাঁরই দলের তৃণমূল কর্মী সমর্থকদেরই একাংশ। দরিদ্র, অসহায় ভাঙাচোরা আশ্রয় যাঁদের তাঁদেরই নাম নেই তালিকায়। এমনকী, অন্ধ ভিখিরির নামও নেই। অথচ বড়-বড় কয়েকতলা বাড়ি যাঁদের, যাঁরা এলাকায় প্রভাবশালী তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বা কর্মী তাঁদেরই নাম রয়েছে তালিকায় বলে দাবি করা হচ্ছে। যার জেরে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ। তাই এবার আর কাউকে রেয়াত না করেই যাঁরা বাড়ি পাননি সেই সকল ব্রাত্য লোকজন তথ্য প্রমাণ তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের ভালুকা সদর এলাকায়। সেখানে প্রায় ১২ জন যোগ্য উপভোক্তাদের নাম বাদ দিয়ে এলাকার প্রায় ১৯ জনের বেশি অযোগ্যদের বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে তথ্য প্রমাণ সহ একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিষয়টি জানানো হয়েছে, ব্লক প্রশাসন সহ জেলার একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকদেরকেও। ছবি এবং বিভিন্ন তথ্য সহ দুর্নীতির প্রমাণ পেশ করেছেন গ্রামবাসীরা। যাঁদের মধ্যে সকলেই প্রায় তৃণমূল কর্মী সমর্থক। এমনকী, ভালুকা সদর এলাকায় প্রশাসনের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভও প্রদর্শন করেন বঞ্চিত উপভোক্তারা। আবাস যোজনার দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
উপভোক্তাদের অভিযোগ, গত বছর সমীক্ষা করার সময় তাঁদের বাড়ি বাড়ি ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘুরে গেছিলেন এবং তাদের নামও নথিভুক্ত হয়েছিল যোগ্য হিসাবে। কিন্তু এই আবাসের তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় এলাকার অর্থশালী,চাকরিজীবী থেকে ব্যবসায়ী, সিভিক ভলান্টিয়ার এবং শাসকদল ঘনিষ্ঠদের নাম তালিকায় চলে এসেছে। এবং এরা টাকাও পেয়ে গিয়েছে। বাদ পড়ে গিয়েছে এলাকার দরিদ্র সম্প্রদায়ের মানুষ যাদের বাড়ি প্রকৃতই কাঁচা এবং জড়া জীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি আরও অভিযোগ, বাদ পড়া তালিকায় এলাকারই এক অন্ধ ভিক্ষুক রয়েছেন। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, এলাকায় ১৯ জন এমন ব্যক্তি টাকা পেয়েছেন যাঁদের দোতালা তিন তালা বাড়ি রয়েছে। কীভাবে কাদের মদতে প্রভাবশালীদের আবাসের তালিকায় নাম উঠাল উঠছে প্রশ্ন। অবিলম্বে অযোগ্যদের কাছ থেকে টাকা ফেরত এবং যোগ্য গরিবদের হাতে আবাসের টাকা প্রদান না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
অভিযোগকারী তুলো দাস বলেন, “আমি তো গরিব। আমার নাম ছিল তালিকায়। অথচ আমায় বাড়ি দিচ্ছে না। আমার নাম কেটেছে। কেন কাটবে আমার নাম? যে চাকরি করছে, যাঁর পাকা বাড়ি আছে তাঁদের বাড়ি আছে। অথচ আমি বাড়ি পাচ্ছি না।” মালদহ জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন, “বাংলার বাড়ি নিয়ে কোনও অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরদাস্ত করবেন না। যখন অভিযোগ গ্রামবাসী করেছেন তখন নিশ্চয় কিছু হয়েছে। আর অযোগ্যরা পেয়ে থাকলে বিডিওকে বলব নাম কাটাতে।”
